কোটচাঁদপুর মতবিনিময় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন জাল যার জল তার

- আপডেট সময় ০৯:২৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ সময় তিনি বাওড়পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শুনেছেন তাঁদের দুঃখ–দুর্দশার কথা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১০টার দিকে বলুহর বাওড় পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদা আখতার। বক্তব্য দেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, জেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক,উপজেলা শাখা জামায়াতে আমির তাজুল ইসলাম,পৌর বিএনপি সভাপতি এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের সভাপতি শরিফুজ্জামান আগা খান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক হৃদয় হাসান।
মতবিনিময় সভায় হালদার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, ‘শত বছর ধরে তারা এই বাওড়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমান জলমহাল নীতিতে পরিবর্তন এনে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে প্রভাবশালী অমৎস্যজীবীদের হাতে ইজারা দেওয়া হয়েছে।’ তাঁরা জানান, এসব ইজারাদার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাওড়ে কৃত্রিম খাবার ও রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা পরিবেশ ও মাছের স্বাভাবিক প্রজননব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।
মৎস্যজীবী নির্মল হালদার বলেন, ‘বাওড় এখন আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। জীবিকা নেই, কর্ম নেই, পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটে।
বক্তারা বলেন, ‘জাল যার, জল তার’—এই প্রবাদ শুধু মুখে বললে হবে না, বাস্তবে তা কার্যকর করতে হবে। তাঁরা দেশের সব বাওড়ের ইজারা বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে তা বণ্টনের দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জল যার, জলা তার—এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই প্রজন্মই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাওড়ের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কথা বলব। পরিবেশ রক্ষা এবং মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
