ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে গাছে সাথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ডাক্তারের বাবার মৃ/ত্যু মৌলভীবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার মনূ নদে রুই মাছের পোনা অবমুক্ত মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মুদাব্বির হোসেন মুনিমের সাংবাদিক সম্মেলন আলহাজ্ব জি কে গউছ: মৃত্যুঞ্জয়ী এক সংগ্রামী ও রাজপথের অগ্নিশিখা মৌলভীবাজারে পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে উৎসবমুখর কাউন্সিল, কর্মীদের উচ্ছ্বাস বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা শ্রীমঙ্গলে মাদক ও নগদ টাকাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ৬ দফা দাবিতে ছাত্র ফ্রন্টের স্মারকলিপি গরম নিয়ে নতুন পূর্বাভাস:লঘুচাপের প্রভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা

কোটচাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় মারা গেলেন কৃষকের গরুর

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
স্যালাইন দিয়ে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সোমবার কোটচাঁদপুর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন  (বাবু)। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়ার কারিগর পাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। পেশায় তিনি কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুও পালন করেন বাবু। গত ৯ মে রাতে তাঁর গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি পাশের গ্রামের পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেনকে ডাকেন। সাজ্জাদ হোসেন রাতে এসে চিকিৎসা দিলে গরু সুস্থ্য হয়ে  যায়।
এরপর শনিবার ১০ মে সকালে গরুকে আরো কিছু চিকিৎসা দেয়ার জন্য নাজিম উদ্দীন নামের আরেক পল্লী চিকিৎসক কে সাথে করে ওইবাড়িতে আসেন সাজ্জাদ হোসেন।
এরপর চিকিৎসা দেন গরুটিকে। এর কিছুক্ষন পর মারা যায় গরুটি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দুই চিকিৎসক। ফেলে যান তাদের বহনকারী মটর সাইকেল এমনটাই দাবি করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)।
তিনি বলেন,গরু অসুস্থ্য হলে প্রথম দিন রাতে ওই চিকিৎসককে আমি ডেকে ছিলাম। চিকিৎসা দেয়ার গরু ভাল ছিল। শনিবার সকালে সাজ্জাদ ও নাজিম নামের দুই জন এসে গরুর চার পা বেঁধে স্যালাইন দেন। এ ছাড়া ওই স্যালািনের মধ্যে দেন আরো কিছু ইনজেকশন।
এর কিছুক্ষন পর মারা যান আমার গরুটি। তিনি ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  বরাবর আবেদন করেছেন। এর অনুলিপি দিয়েছেন উপজেলা প্রাণী  সম্পাদক কর্মকর্তা বরাবর। এতে করে ওই চাষি ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আবেদনে।
পশুচিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন বলেন,গরুটি গরমে স্ট্রোক করেছিল। ওইদিন রাতে চিকিৎসা দেওয়ার পর একটু সুস্থ্য হয়েছিল। পরের দিন গরুর মালিক ডাকেন গরু দূর্বল। সে কারনে আরো কিছু ওষুধ দেয়ার জন্য। এ কারনে গরুটিকে স্যালাইন দেবার জন্য আরেকজনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্যালাইন দেবার পর গরুটি আবারও স্ট্রোক করে,মারা যায়।  এ সময় তারা আমাদের উপর চড়াও হন মারতে। জোর করে রেখে দেন আমাদের দুইটি মটর সাইকেল। তবে ওই ধরনের চিকিৎসা আপনারা দিতে পারেন কি,এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদোত্তর দেননি।
ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন কোটচাঁদপুরের দোড়ার হঠাৎ পাড়ার আলতাপ হোসেনের ছেলে ও নাজিম উদ্দীন একই উপজেলার বলরামনগর গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা জিল্লুর  রহমান বলেন,এ ধরনের চিকিৎসা ওনারা দিতে পারেন না। আমি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় মারা গেলেন কৃষকের গরুর

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
স্যালাইন দিয়ে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সোমবার কোটচাঁদপুর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন  (বাবু)। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়ার কারিগর পাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। পেশায় তিনি কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুও পালন করেন বাবু। গত ৯ মে রাতে তাঁর গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি পাশের গ্রামের পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেনকে ডাকেন। সাজ্জাদ হোসেন রাতে এসে চিকিৎসা দিলে গরু সুস্থ্য হয়ে  যায়।
এরপর শনিবার ১০ মে সকালে গরুকে আরো কিছু চিকিৎসা দেয়ার জন্য নাজিম উদ্দীন নামের আরেক পল্লী চিকিৎসক কে সাথে করে ওইবাড়িতে আসেন সাজ্জাদ হোসেন।
এরপর চিকিৎসা দেন গরুটিকে। এর কিছুক্ষন পর মারা যায় গরুটি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দুই চিকিৎসক। ফেলে যান তাদের বহনকারী মটর সাইকেল এমনটাই দাবি করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)।
তিনি বলেন,গরু অসুস্থ্য হলে প্রথম দিন রাতে ওই চিকিৎসককে আমি ডেকে ছিলাম। চিকিৎসা দেয়ার গরু ভাল ছিল। শনিবার সকালে সাজ্জাদ ও নাজিম নামের দুই জন এসে গরুর চার পা বেঁধে স্যালাইন দেন। এ ছাড়া ওই স্যালািনের মধ্যে দেন আরো কিছু ইনজেকশন।
এর কিছুক্ষন পর মারা যান আমার গরুটি। তিনি ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  বরাবর আবেদন করেছেন। এর অনুলিপি দিয়েছেন উপজেলা প্রাণী  সম্পাদক কর্মকর্তা বরাবর। এতে করে ওই চাষি ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আবেদনে।
পশুচিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন বলেন,গরুটি গরমে স্ট্রোক করেছিল। ওইদিন রাতে চিকিৎসা দেওয়ার পর একটু সুস্থ্য হয়েছিল। পরের দিন গরুর মালিক ডাকেন গরু দূর্বল। সে কারনে আরো কিছু ওষুধ দেয়ার জন্য। এ কারনে গরুটিকে স্যালাইন দেবার জন্য আরেকজনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্যালাইন দেবার পর গরুটি আবারও স্ট্রোক করে,মারা যায়।  এ সময় তারা আমাদের উপর চড়াও হন মারতে। জোর করে রেখে দেন আমাদের দুইটি মটর সাইকেল। তবে ওই ধরনের চিকিৎসা আপনারা দিতে পারেন কি,এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদোত্তর দেননি।
ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন কোটচাঁদপুরের দোড়ার হঠাৎ পাড়ার আলতাপ হোসেনের ছেলে ও নাজিম উদ্দীন একই উপজেলার বলরামনগর গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা জিল্লুর  রহমান বলেন,এ ধরনের চিকিৎসা ওনারা দিতে পারেন না। আমি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।