ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মাথা গরম করে রাজনীতি করা চলবে না যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সভাপতি…..মাহিদুর রহমান যুবদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার বাঁচানো গেল না সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী রিমিকে নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ঢাকা থেকে ৬ জন গ্রেফতার খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময় কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে বৃটেন প্রবাসী মাফিকুর রাজার সংবাদ সম্মেলন বিসমিল্লাহ ইউকে চ্যারিটি সংস্থা উদ্যোগ গভীর নলকূপ প্রদান মৌলভীবাজারে মাদকের বিতর্কিত ডিডি বদলি

কোটচাঁদপুরে রোগী ও ক্লীনিক পক্ষের মধ্যে মারামারি,থানায় অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ক্লীনিকের রোগীর টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্লীনিক ও রোগী পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ মারামারি হয়। ওই ঘটনায় থানায়  পাল্টা -পাল্টি অভিযোগ হয়েছে ।

এ ব্যাপারে ক্লীনিকের মালিক আজাদ রহমান জানান,কোটচাঁদপুরে গুড়পাড়ার তারিন খাতুন নামের এক রোগী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই রোগীর বাড়ি যাবার কথা ছিল। রোগীর লোকজন ক্লীনিকের পাওনা টাকা কম দেয়ার পায়তারা করছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরাম হোসেনের কাছে যান।এরপর ক্লীনিকের পাওনা টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় চেয়ারম্যান ও তার ছেলে প্রিন্স আমাকে মারতে থাকে। এ সময় আমার পাটনার তোতা, ক্লীনিকের সিস্টার সাথী খাতুন ও দোকানদার সজল হোসেন  ঠেকাতে গেলে, তারাও মারপিটের স্বীকার হন। এর মধ্যে আমি সহ তিন জন গুরুত্বতর আহত হয়েছি।

এ সময় তারা টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ভাংচুর করেছেন ক্লীনিকের চেয়ার,টেবিল। পরে তারা ক্লীনিকের পাওনা টাকা না দিয়ে রোগী জোর করে নিয়ে গেছেন বলে দাবী আজাদ রহমানের। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্লীনিক কতৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, তারিন খাতুন আমার গ্রামের রোগী। কয়েকদিন হল সে ওই ক্লীনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করান। তাদের মধ্যে টাকার চৃক্তিও হয়েছিল।রোগীর লোকজন বাড়ি যাবার সময় কিছু টাকা কম নেয়ার জন্য ক্লীনিক কতৃপক্ষের কাছে আমাকে সুপারিশ করতে বলেন।

এ ব্যাপারে আমি ক্লীনিকের আরেক মালিক মুকুল খানকে বলি। বিষয়টি নিয়ে চটে যান আজাদ। রোগীর লোকজনের সামনে গালিগালাজ করতে থাকেন আমাকে । এ সব নিয়ে কথা বলতে ক্লীনিকে গেলে,সে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে মারতে যান। খবর পেয়ে ওই সময় আমার ছেলে প্রিন্স ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও ক্লীনিকের সবাই মারতে থাকে। এ সময় আমাদের দৃইটি মোবাইল তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এস,আই) আয়ুব হোসেন বলেন, ক্লীনিকের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে প্রকৃত ঘটনা কি,তা তদন্তের পর বলা সম্ভব হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুরে রোগী ও ক্লীনিক পক্ষের মধ্যে মারামারি,থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ক্লীনিকের রোগীর টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্লীনিক ও রোগী পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ মারামারি হয়। ওই ঘটনায় থানায়  পাল্টা -পাল্টি অভিযোগ হয়েছে ।

এ ব্যাপারে ক্লীনিকের মালিক আজাদ রহমান জানান,কোটচাঁদপুরে গুড়পাড়ার তারিন খাতুন নামের এক রোগী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই রোগীর বাড়ি যাবার কথা ছিল। রোগীর লোকজন ক্লীনিকের পাওনা টাকা কম দেয়ার পায়তারা করছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরাম হোসেনের কাছে যান।এরপর ক্লীনিকের পাওনা টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় চেয়ারম্যান ও তার ছেলে প্রিন্স আমাকে মারতে থাকে। এ সময় আমার পাটনার তোতা, ক্লীনিকের সিস্টার সাথী খাতুন ও দোকানদার সজল হোসেন  ঠেকাতে গেলে, তারাও মারপিটের স্বীকার হন। এর মধ্যে আমি সহ তিন জন গুরুত্বতর আহত হয়েছি।

এ সময় তারা টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ভাংচুর করেছেন ক্লীনিকের চেয়ার,টেবিল। পরে তারা ক্লীনিকের পাওনা টাকা না দিয়ে রোগী জোর করে নিয়ে গেছেন বলে দাবী আজাদ রহমানের। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্লীনিক কতৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, তারিন খাতুন আমার গ্রামের রোগী। কয়েকদিন হল সে ওই ক্লীনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করান। তাদের মধ্যে টাকার চৃক্তিও হয়েছিল।রোগীর লোকজন বাড়ি যাবার সময় কিছু টাকা কম নেয়ার জন্য ক্লীনিক কতৃপক্ষের কাছে আমাকে সুপারিশ করতে বলেন।

এ ব্যাপারে আমি ক্লীনিকের আরেক মালিক মুকুল খানকে বলি। বিষয়টি নিয়ে চটে যান আজাদ। রোগীর লোকজনের সামনে গালিগালাজ করতে থাকেন আমাকে । এ সব নিয়ে কথা বলতে ক্লীনিকে গেলে,সে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে মারতে যান। খবর পেয়ে ওই সময় আমার ছেলে প্রিন্স ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও ক্লীনিকের সবাই মারতে থাকে। এ সময় আমাদের দৃইটি মোবাইল তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এস,আই) আয়ুব হোসেন বলেন, ক্লীনিকের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে প্রকৃত ঘটনা কি,তা তদন্তের পর বলা সম্ভব হবে।