ব্রেকিং নিউজ
কোটি টাকার সম্পদ জবর দখল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ১০:২২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫ বার পড়া হয়েছে

কোটি টাকার সম্পদ জবর দখলের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাংবাদ সম্মেলন ন্যায় বিচারের প্রত্যাশার দাবী জানান।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- আমি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইকুড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসীন্দা। আমার পূর্বপুরুষ স্থানীয় জগতপুর ও দুর্গাপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আমার আপন চাচাত ভাই প্রবাসী আব্দুল গণি গং দীর্ঘদিন যাবত ইউরোপ প্রবাসে বসবাস করছেন। ফলে, তাদের সমস্ত বিষয় সম্পত্তি আমি আবু সাহিদ ভুট্টু দেখাশুনা করে আসছি।
বিগত ৫/০৮/২০২৪ইং তারিখে দেশে স্বৈরাচার বদলের পর থেকে থানা কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে আব্দুল গণি গং-এর নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আমি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিদেশে বসবাসরত আমার চাচাত ভাই আব্দুল গণি গং-দের বিষয়টি অবহিত করি। তারা আমাকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি · অবগত করার পরামর্শ দেন। আমি তাদের নির্দেশমত মৌলভীবাজার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে তৎকালীন ওসি মহোদয়কে বিষয়টি জানাই । পরবর্তীতে কয়েছ মিয়া গং আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিলে আমি ভয়ে নিরব হয়ে যাই। ইতিমধ্যে তারা নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে জবর দখল ও অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে থাকে। গত ১৩/০৪/২০২৫ইং তারিখে কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার সহযোগী পারভেজ মিয়া, জুবেদ মিয়া, আবেদ মিয়া গং মিলে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকায় নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি জবর-দখলের উদ্দেশ্যে একসে ব্রেটার (মাটি কাটার মেশিন) ও শ্রমিক এবং একদল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে অবস্থান নেন। আমি তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বাঁধা দেই ও চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করলে তারা আমাকে মারপিঠ শুরু করে। তখন স্থানীয় জনতা আমাকে উদ্ধার করেন।
জনতার উপস্থিতি বেড়ে গেলে তারা ফিরে চলে যান। আমি তখন শহরে এসে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি ‘অভিযোগ দায়ের করি। পরবর্তীতে একই তারিখ দিবাগত রাতে আবারো তারা জবর দখলের উদ্দেশ্যে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে হানা দেয়। তখন আমি রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের করি। ইতিমধ্যে তারা নানাভাবে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমির গাছ কর্তন, মাটি কাটা আংশিকভাবে শুরু করে দেয়। তাদের এসব বে-আইনী কর্মকান্ড দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গত ১৬/০৪/২০২৫ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত (মৌলভীবাজার সদর) বরাবর ১৪৪ পিটিশন মামলা দাখিল করি । (চলমান পরবর্তীতে কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গরু জবাই করে ভুরিভোজ করে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমির ছোট-বড় প্রায় ২০০ শত গাছ কর্তন করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যায় এবং পুরো বাড়ী কেটে গভীর গর্ত করে ক্ষয়-ক্ষতিসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ তাদের দখলে নিয়ে নেয়। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভয়ানক প্রকৃতির লোক । তারা এতসব জবর-দখলের তান্ডব চালিয়েও ক্ষান্ত নয়।
তারা আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে দিন-দুপুরে হন্যে হয়ে খোঁজে বেড়াচ্ছে। আমি প্রাণভয়ে ঘর-বাড়ী ছেড়ে ছেলে সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার প্রাণের নিরাপত্তা ও প্রবাসীর সম্পদ জবর-দখল থেকে পুনরোদ্ধারের আহ্বান জানাচ্ছি।
তপশীল জেলা: মৌলভীবাজার, থানা মৌলভীবাজার সদর, মৌজা: সানন্দপুর, জে.এল নং-৪৪, এস.এ.খতিয়ান নং-১১৬, আর.এস খতিয়ান নং-৪২, এস.এ. দাগ নং-১৪২, আর.এস দাগ নং-১৫৩, ইহাতে বাড়ী রকম ৪৭ শতক ভূমির মধ্যে ২৩.৫০ শতক আমি ।

ট্যাগস :