ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আ/গু/ন কোটচাঁদপুরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক  যুব দিবস পালিত সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সুযোগ প্রদানের দাবিতে মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলন মৌলভীবাজার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে পালিত মৌলভীবাজার জেলা ইমাম সম্মেলন ২০২৫, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও আদর্শ সমাজ গঠনে ইমামদের ভূমিকা* মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে ভোক্তভোগি দুই নারীর সংবাদ সম্মেলন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভারতিয় সিরাপসহ গ্রে/ফ/তা/র -১ র‍্যাবের অভিযানে ইসকফ সিরাপসহ যুবক গ্রে/ফ/তা/র ব্যবসায়ী রুবেল হ/ত্যা/কারীদের গ্রে/ফ/তা/রের দাবীতে কুলাউড়ায় টিবিএফ’র মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কমলগঞ্জ রাফি হ/ত্যা/কা/ন্ড: গ্রে/ফ/তা/র ছোট ভাই আলামত উ/দ্ধা/র

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।