গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

- আপডেট সময় ০২:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানির দিন আগামী বৃহস্পতিবার ধার্য করেছে আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বিএনপির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ আরও অনেকে।
থাইল্যান্ডে ডিউক অফ এডিনবার্গ কার্যক্রমে হেলিবারি ভালুকার অংশগ্রহণ থাইল্যান্ডে ডিউক অফ এডিনবার্গ কার্যক্রমে হেলিবারি ভালুকার অংশগ্রহণ গত ১ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার অনুমতি দেয়। এ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করলে সেটি গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ে উল্লেখ করেন, মামলার বিচার প্রক্রিয়া আইনগতভাবে বৈধ হয়নি এবং গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দেওয়া চার্জশিট আইনি ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন, যেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারিক রায়ের পর ২৭ নভেম্বর মামলার প্রায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ পাতার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন আদালত।
ছয় মাসে ২৭ মৃত্যু, ১১ মাসে ২৪৪২ সহিংসতা—তদন্তে নেই সাম্প্রদায়িকতার প্রমাণছয় মাসে ২৭ মৃত্যু, ১১ মাসে ২৪৪২ সহিংসতা—তদন্তে নেই সাম্প্রদায়িকতার প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের অনেকে আজও শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন, কেউ কেউ চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, আবদুর রহিম, মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দীন, শেখ আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, আবু সাইদ, আবু জান্দাল, আবু তাহের, মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ও মো. উজ্জ্বল। মহাখালীতে পথশিশু ধর্ষণের শিকারমহাখালীতে পথশিশু ধর্ষণের শিকার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, আবদুর রউফ, আবু হোমাইরা, মাওলানা সাব্বির আহমদ, আরিফ হাসান, ইয়াহিয়া, আবু বকর, আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মোত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন, খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল, লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও রাতুল আহম্মেদ বাবু। এদের মধ্যে অনেকেই পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া শুনানিতে মামলাটির পরবর্তী আইনি গতিপথ নির্ধারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
