ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা লন্ডনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচ এস সি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা জুড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা -মৌলভীবাজারে রুহুল কবির রিজভী

ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু নেয়া যাবে না

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
  • / ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ, ছাতা ছাড়া আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারও সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে।

রোববার (১ মে) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে যান ডিএমপি কমিশনার। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিককের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া সঙ্গে অন্যকিছু আনা যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদগাহে আসার সময় ছাতা, জায়নামাজের বাইরে কিছু নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রবেশপথে অনেক লম্বা লাইন হবে, সার্চ করে প্রবেশ করতে কিছুটা সময় লগে। তাই সবাইকে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে কোনো ধরনের হুমকির তথ্য নেই। জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীজুড়ে ঈদগাহ ও মসজিদ মিলিয়ে ১ হাজার ৪৬৮ স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সব ঈদ জামাতকে ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ডিএমপি।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগে থেকে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা আসবেন প্রয়োজনবোধে শারীরিক তল্লাশি করা হবে, এছাড়া সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এখানে ঈদ জামাত সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সব বড় জামাতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদ ব্যতিক্রম। গত ২ বছর করোনার কারণে উৎসবের উদ্দীপনা এতোটা ছিল না। এবার সর্বস্তরে অধিক উদ্দীপনায় ঈদ পালিত হবে। ঈদ কেন্দ্রীক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বা পরশু অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ না হলেও ভাইরাসটির প্রকোপ কমায় এবার জামাতের আয়োজন করা হয়েছে দেশের প্রধান ঈদগাহে। ইতোমধ্যে নামাজ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু নেয়া যাবে না

আপডেট সময় ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ, ছাতা ছাড়া আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারও সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে।

রোববার (১ মে) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে যান ডিএমপি কমিশনার। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিককের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া সঙ্গে অন্যকিছু আনা যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদগাহে আসার সময় ছাতা, জায়নামাজের বাইরে কিছু নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রবেশপথে অনেক লম্বা লাইন হবে, সার্চ করে প্রবেশ করতে কিছুটা সময় লগে। তাই সবাইকে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে কোনো ধরনের হুমকির তথ্য নেই। জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীজুড়ে ঈদগাহ ও মসজিদ মিলিয়ে ১ হাজার ৪৬৮ স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সব ঈদ জামাতকে ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ডিএমপি।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগে থেকে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা আসবেন প্রয়োজনবোধে শারীরিক তল্লাশি করা হবে, এছাড়া সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এখানে ঈদ জামাত সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সব বড় জামাতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদ ব্যতিক্রম। গত ২ বছর করোনার কারণে উৎসবের উদ্দীপনা এতোটা ছিল না। এবার সর্বস্তরে অধিক উদ্দীপনায় ঈদ পালিত হবে। ঈদ কেন্দ্রীক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বা পরশু অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ না হলেও ভাইরাসটির প্রকোপ কমায় এবার জামাতের আয়োজন করা হয়েছে দেশের প্রধান ঈদগাহে। ইতোমধ্যে নামাজ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।