ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যাবার পর স্যার আমাকে ডেকে ওনার রুমে নিয়ে যান।
এরপর জিজ্ঞাসা করেন গ্রীল চুরির কথা। আমি স্যারকে বলি আমি চুরি করিনি। কে করেছেন তাও জানিনা। এরপর স্যার আমাকে ও ইয়ামিনকে হাতের স্কেল দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় আমাদের মার দেখে পালিয়ে যান সোহাগ হোসেন।
এ ব্যাপারে সোহাগ হোসেন বলেন,৫০ কেজি ওজনের গ্রীল কি আমরা তিন জন নিতে পারি। স্যার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
ওই ছাত্র বলেন,স্যার যখন আমিনুর ও ইয়ামিনকে মারছিল, আমি তখন ভয়ে পালিয়ে যায়।
ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুর রহমানের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি ওই সময় বাড়িতে কাজ করছিলাম। বিদ্যালয় থেকে খবর পেলাম প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার ছেলে মারধার করছেন। এ সময় আমি বিদ্যালয়ে ছুটে যায়। ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করি ছেলেকে মারার কারন। এতে করে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেও গলা ধরে ধাক্কা দেন। গালি দেন খারাপ ভাষায়।
এরপর জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে চুরির অভিযোগে মারধর করেছেন। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
ওই অভিযোগের পেক্ষিতে ওনারা আজ বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকদের ডেকে সভা করেন। এরপর উভয় পক্ষের কাছে শুনে স্যারকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।
কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম বলেন,কারা চুরি করেছে, সেটা আমি দেখিনি। তবে শুনেছি তারাই ছাদে উঠেছিল।
তিনি বলেন,আমি তাদের মেরেছি, তবে ওভাবে মারিনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তবে তাদের মারাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি ওই সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,ওই শিক্ষক ছাত্রদের মারপিট করেছেন। তবে অভিভাবকরা যেমন ভাবে বলছেন, তেমন ভাবে মারেনি।
তিনি বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্তে গিয়েছিলাম কাগমারি স্কুলে। ওই ছাত্রকে মারার ঘটনায় শিক্ষকে শোকজ নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।