জুড়ীতে হামলা মামলা পাল্টা মামলা
- আপডেট সময় ০২:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে
সিরাজুল ইসলাম- মৌলভীবাজারের জুড়ী পঃজুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে হামলা মামলা পাল্টা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার( ১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুড়ী আব্দুল আজিজ মেডিকেল সেন্টারের ম্যানেজার কালনীগড় গ্রামের তরুন চক্রবর্তীর পুত্র তাপস চক্রবর্তীর সাথে আমতৈল গ্রামের গৌরমোহন দাশের পুত্র অনুপম দাশের মারামারির ঘটনার সময় গৌরমোহন দাশের বসত বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর,চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ঘটনায় সংঘটিত অপরাধের ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় পক্ষ জুড়ী থানায় আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করেন।
গৌরমোহন দাশের বাড়ীতে হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী
সুধা রাণী দাশ (৬৬) বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একখানা অভিযোগ দিলে কালনিগড় গ্রামের তাপস চক্রবর্তী(২৭) কে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নামোল্লেখ সহ ৫/৬ জন গং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড হয়।মামলা নং ৫. তারিখ-২১/৯/২০২২ ইং
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন একই গ্রামের চিত্র রন্জন দাসের পুত্র বিজিত দাশ(২৫) রাখাল দাশের পুত্র সুমন দাশ(২০) ও সন্দীপ দাশ(২৩) হারুন দাশের পুত্র বিকাশ দাশ(৩৫) রাধিকা অধিকারীর পুত্র মিন্টু অধিকারী (৩২) বিধু ভূষণ দাশের পুত্র তপন দাশ(৩৮)
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,তাপস চক্রবর্তী বাড়ী থেকে জুড়ীতে যাওয়ার সময় ঘটনাস্হলে থাকা অনুপম দাশ কে মোটর সাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে যায়।তাপস কে এভাবে সাইকেলে না চালানোর জন্য বললে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে তাপস মোবাইল ফোনে উল্লেখিত আসামীগন কে এনে দা,রড,লাটি দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অনুপম কে আক্রমণ করলে দৌড়ে সে বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।আসামীগন অনুপমের বাড়ীতে এসে ঘরের দরজা জানালা,আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি সাধন করে আলমারিতে থাকা নগদ এক লক্ষ পন্ঞ্চাশ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও বেশ কিছু মালামাল লুটপাট সহ মোট সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
উভয়ের পরিবার সুত্রে জানা যায়,এখন ও একদিকে তাপসের হাতে পায়ে উরুতে মারাত্বক আকারের জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অন্যদিকে অনুপমকে ও কিল ঘুষি দা লাটি দিয়ে আঘাত করায় মারাত্বক আহত হয়ে উভয়ই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
অনুপমের বাড়ীতে গেলে আজ বৃহস্পতিবার এক নিস্তব্ধতা ও নিরবতা দেখা যায়,তার একমাত্র মা সুধা রাণী দাশ(৬৬) অসুস্হ শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছে। কথা বলতে পারছেন না ঠিকমতো।পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার।যেকোনো সময় পুরুষ বিহীন বাড়ীতে একা শরীরের অবস্হা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমার ছেলেকে তারা মারলে আমার দুঃখ ছিলো না।কিন্তু আমার ছোট্র নাতি কে বউ মার কোল থেকে বারান্দায় ফেলে দেয় তারা।তাদের ভয়ে আজ সবাই বাড়ী ঘর ফেলে চলে গেছে।আমার জন্য আপনারা আশির্বাদ করবেন।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সন্ঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ একটু বেশি বাড়াবাড়ি করায় এ ঘটনা ঘটে।আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগ রেকর্ড করেছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।