ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
প্রতিবন্ধী নারীর ম র দে হ উদ্ধার দুর্গাপুরে আলেম সমাজকে নিয়ে জামায়াতের উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি গ্রে ফ তা র উপজেলা পর্যায়ে ওয়ান-স্টপ সলিউশন সেন্টার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলন আল্ট্রা-পুওর গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সুকিরাম নি হ ত কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধন ও পুনর্বাসন হয় – ডি আই জি প্রিজন্স আলতাব হোসেন মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত মৌলভীবাজারে আন্ত: কলেজ ফুটবল টূর্ণামেন্ট শুরু আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন

জ্বালানির অর্থ নেই,ঘুরছে না অ্যাম্বুলেন্সের চাকা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
  • / ৬৪৮ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানির জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাম্বুলেন্সে জ্বালানি হিসেবে অকটেন ব্যবহৃত হয়। প্রতি মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জ্বালানির চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। অধিদপ্তর থেকে কয়েক মাস পরপর একসঙ্গে বরাদ্দ করা টাকা পাঠানো হয়। এ সময় স্থানীয় কোনো ফুয়েলিং স্টেশন থেকে বাকিতে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি কেনা হয়। বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর ফুয়েলিং স্টেশনের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়। এদিকে জ্বালানির টাকা না থাকায় গত জানুয়ারি মাস থেকে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের কয়েকটি ওষুধ ও চায়ের দোকানের মালিক বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী মুজিবুর রহমান এবং আরেকটির মালিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মৌলা মিয়া। বাকি দুটির মালিক স্থানীয় আরও দুই ব্যক্তি। এসব অ্যাম্বুলেন্সে প্রতিদিন ৮-১০ জন রোগীকে মৌলভীবাজার সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাড়ায় পরিবহন করা করা হয়।

নৈশপ্রহরী মুজিবুর রহমান বলেন, সিলেটে রোগী পরিবহনে তাঁরা সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়া নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্থানীয় একটি ফুয়েলিং স্টেশনের প্রায় চার লাখ টাকার জ্বালানি বিল তাঁদের কাছে বকেয়া পড়ে ছিল। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দের টাকা মেলে। পরে বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর ওই ফুয়েলিং স্টেশনের মালিক বাকিতে জ্বালানি বিক্রিতে আর রাজি হননি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জ্বালানির অর্থ নেই,ঘুরছে না অ্যাম্বুলেন্সের চাকা

আপডেট সময় ১০:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানির জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাম্বুলেন্সে জ্বালানি হিসেবে অকটেন ব্যবহৃত হয়। প্রতি মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জ্বালানির চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। অধিদপ্তর থেকে কয়েক মাস পরপর একসঙ্গে বরাদ্দ করা টাকা পাঠানো হয়। এ সময় স্থানীয় কোনো ফুয়েলিং স্টেশন থেকে বাকিতে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি কেনা হয়। বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর ফুয়েলিং স্টেশনের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়। এদিকে জ্বালানির টাকা না থাকায় গত জানুয়ারি মাস থেকে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের কয়েকটি ওষুধ ও চায়ের দোকানের মালিক বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী মুজিবুর রহমান এবং আরেকটির মালিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মৌলা মিয়া। বাকি দুটির মালিক স্থানীয় আরও দুই ব্যক্তি। এসব অ্যাম্বুলেন্সে প্রতিদিন ৮-১০ জন রোগীকে মৌলভীবাজার সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাড়ায় পরিবহন করা করা হয়।

নৈশপ্রহরী মুজিবুর রহমান বলেন, সিলেটে রোগী পরিবহনে তাঁরা সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়া নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্থানীয় একটি ফুয়েলিং স্টেশনের প্রায় চার লাখ টাকার জ্বালানি বিল তাঁদের কাছে বকেয়া পড়ে ছিল। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দের টাকা মেলে। পরে বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর ওই ফুয়েলিং স্টেশনের মালিক বাকিতে জ্বালানি বিক্রিতে আর রাজি হননি।