ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কাজী নজরুল গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন মৌলভীবাজারের বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ষড়যন্ত্র যতদিন থাকবে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম ততদিন চলবে – ফয়জুল করিম ময়ুন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান জাতীয় নির্বাচন হবে কি হবে না, সেটা  আমার বিষয় না – শ্রীমঙ্গলে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল এম সাইফুর রহমানেন কাছে -চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাড়া দিয়েছে সরকার  সাংবাদিক মাহবুব এর মায়ের মৃত্যু মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের শোক সার্কের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন কমলগঞ্জের তানভীর মৌলভীবাজারে ‘অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালা

ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল এম সাইফুর রহমানেন কাছে -চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক বলেছেন,এম সাইফুর রহমান স্যারের কাছে ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল ছিলেন। তিনি বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরের চেয়ারম্যান হিসেবে। সেই আজ পর্যন্ত তাঁর বিকল্প আমার মনে হয় না এশিয়া সাবকন্টিনেন্টের মধ্যে কেউ আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে সেটি বিএনপি সরকারের সময়ই তিনি সেই ভিত মজবুত করে রচনা করে গিয়েছিলেন,যার হাতে নেয়া অনেক সাহসী পদক্ষেপ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দেশ আজকে সেটির সুফল পাচ্ছে এবং বিদেশি রিজার্ভ ফান্ডে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ছিল সেটি তাঁর হাতেই গড়া ছিল।

 

তিনি আরও বলেন,মূলত: সাইফুর রহমান স্যার এবং উনার ওয়াইফের অনেক কন্ট্রিবিউশন আমাদের যুক্তরাজ্য বিএনপিতে আছে এবং পারসনেলি আমার ব্যক্তিগত জীবনেও সাইফুর রহমান স্যার উনার স্ত্রী অনেক আদর স্নেহ করতেন। আমি ও মাহিদুর রহমান যখন লন্ডন থেকে আসলে আমাদেরকে সাথে সাথে বাসার ওপরে নিয়ে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে এ টু জেড স্পেশালি লুক আফটার করতেন। সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতারাও থাকতো। আজকে সেই কারণে আমি মাহিদুর রহমান লং টাইম লন্ডন বিএনপির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। তা-ই এখানে এসেছি। পবিত্র হজে যাবো তাই সকালে আমার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে এম সাইফুর রহমান স্যার ও তাঁর সহধর্মিণীর কবর জিয়ারত করতে।

শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে বাংলাদেশের সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারত শেষে তাঁকে নিয়ে তিনি এমন স্মৃতিচারণ করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্য যাবার আগে প্রয়াত মন্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে আসলে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান মরহুম অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। খবর পেয়ে সেখানে বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

সেখানে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন,গণঅভুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া যে একজন বিএনপি নেতার নাম শুধুই মুখ নিতো তাঁর নাম হল এম এ মালেক। ওই সময়ে আমরা দেখেছি,সেখানকার আওয়ামীলীগ নেতাদের খুনি গণহত্যাকারী হাসিনা বলতো মালেক কে বল সাবধান হতে। নইলে মালেক কে কন্ট্রোল করও। তখন তারা(আওয়ামীলীগের নেতারা) ভিতরে ভিতরে বলত এটা তো যুক্তরাজ্য। এখানে কন্ট্রোল করার কোন উপায় নেই।

নাসের বলেন,যুক্তরাজ্য এমন এক দেশ যেখানে যে কোন গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অ্যালাউ করে। এটাকে এম এ মালেক সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন। যার কারণ প্রবাসে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সফল হয়েছে। এবং আরও বেটার হয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে ছিলেন। সেকারণে যুক্তরাজ্য বিএনপি কি পরিমাণ শক্তি সামর্থ্য অবস্থায় ছিল,এবং নেতাকর্মীগণ উজ্জীবিত ছিলেন। এই সুবাদে এম এ মালেক প্রবাসের মাটিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন । সে কারণে লন্ডনে বার বার স্বৈরাচারি হাসিনা সফরে গিয়ে লন্ডন প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দের তীব্র আন্দোলনের মূখে পড়তে হয়েছে। ক্ষোভে হাসিনার নির্দেশে দেশে এম মালেকের বাসা বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে প্রবাসী অনেক বিএনপি নেতাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
নাসের বলেন,দে-শ বিদেশে সব জায়গায় ই হাসিনা পতনের আন্দোলন হয়েছে। প্রবাসীরাও সবরকমের সহযোগিতা দিয়ে দেশের আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন। প্রবাসে এম এ মালেকের মতো পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরানোর আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকা ও অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও দেশবাসীর পক্ষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাঁর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য স্বাগতম জানান।

নাসের রহমান বলেন, এম এ মালেক কে আমার আব্বা মরহুম এম সাইফুর রহমান ও আমার আম্মা খুব পছন্দ করতেন। আমার আম্মা লন্ডনে গেলে এম এ মালেক তাঁর সঙ্গে থাকতেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার সময়েও তিনি সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবারের একজন সুহৃদ ও খুবই ঘনিষ্ঠ জন ছিলেন।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল এম সাইফুর রহমানেন কাছে -চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক

আপডেট সময় ০১:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক বলেছেন,এম সাইফুর রহমান স্যারের কাছে ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল ছিলেন। তিনি বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরের চেয়ারম্যান হিসেবে। সেই আজ পর্যন্ত তাঁর বিকল্প আমার মনে হয় না এশিয়া সাবকন্টিনেন্টের মধ্যে কেউ আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে সেটি বিএনপি সরকারের সময়ই তিনি সেই ভিত মজবুত করে রচনা করে গিয়েছিলেন,যার হাতে নেয়া অনেক সাহসী পদক্ষেপ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দেশ আজকে সেটির সুফল পাচ্ছে এবং বিদেশি রিজার্ভ ফান্ডে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ছিল সেটি তাঁর হাতেই গড়া ছিল।

 

তিনি আরও বলেন,মূলত: সাইফুর রহমান স্যার এবং উনার ওয়াইফের অনেক কন্ট্রিবিউশন আমাদের যুক্তরাজ্য বিএনপিতে আছে এবং পারসনেলি আমার ব্যক্তিগত জীবনেও সাইফুর রহমান স্যার উনার স্ত্রী অনেক আদর স্নেহ করতেন। আমি ও মাহিদুর রহমান যখন লন্ডন থেকে আসলে আমাদেরকে সাথে সাথে বাসার ওপরে নিয়ে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে এ টু জেড স্পেশালি লুক আফটার করতেন। সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতারাও থাকতো। আজকে সেই কারণে আমি মাহিদুর রহমান লং টাইম লন্ডন বিএনপির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। তা-ই এখানে এসেছি। পবিত্র হজে যাবো তাই সকালে আমার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে এম সাইফুর রহমান স্যার ও তাঁর সহধর্মিণীর কবর জিয়ারত করতে।

শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে বাংলাদেশের সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারত শেষে তাঁকে নিয়ে তিনি এমন স্মৃতিচারণ করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্য যাবার আগে প্রয়াত মন্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে আসলে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান মরহুম অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। খবর পেয়ে সেখানে বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

সেখানে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন,গণঅভুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া যে একজন বিএনপি নেতার নাম শুধুই মুখ নিতো তাঁর নাম হল এম এ মালেক। ওই সময়ে আমরা দেখেছি,সেখানকার আওয়ামীলীগ নেতাদের খুনি গণহত্যাকারী হাসিনা বলতো মালেক কে বল সাবধান হতে। নইলে মালেক কে কন্ট্রোল করও। তখন তারা(আওয়ামীলীগের নেতারা) ভিতরে ভিতরে বলত এটা তো যুক্তরাজ্য। এখানে কন্ট্রোল করার কোন উপায় নেই।

নাসের বলেন,যুক্তরাজ্য এমন এক দেশ যেখানে যে কোন গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অ্যালাউ করে। এটাকে এম এ মালেক সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন। যার কারণ প্রবাসে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সফল হয়েছে। এবং আরও বেটার হয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে ছিলেন। সেকারণে যুক্তরাজ্য বিএনপি কি পরিমাণ শক্তি সামর্থ্য অবস্থায় ছিল,এবং নেতাকর্মীগণ উজ্জীবিত ছিলেন। এই সুবাদে এম এ মালেক প্রবাসের মাটিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন । সে কারণে লন্ডনে বার বার স্বৈরাচারি হাসিনা সফরে গিয়ে লন্ডন প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দের তীব্র আন্দোলনের মূখে পড়তে হয়েছে। ক্ষোভে হাসিনার নির্দেশে দেশে এম মালেকের বাসা বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে প্রবাসী অনেক বিএনপি নেতাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
নাসের বলেন,দে-শ বিদেশে সব জায়গায় ই হাসিনা পতনের আন্দোলন হয়েছে। প্রবাসীরাও সবরকমের সহযোগিতা দিয়ে দেশের আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন। প্রবাসে এম এ মালেকের মতো পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরানোর আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকা ও অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও দেশবাসীর পক্ষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাঁর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য স্বাগতম জানান।

নাসের রহমান বলেন, এম এ মালেক কে আমার আব্বা মরহুম এম সাইফুর রহমান ও আমার আম্মা খুব পছন্দ করতেন। আমার আম্মা লন্ডনে গেলে এম এ মালেক তাঁর সঙ্গে থাকতেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার সময়েও তিনি সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবারের একজন সুহৃদ ও খুবই ঘনিষ্ঠ জন ছিলেন।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত।