ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কদবানু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদ প্রতিনিধিঃ অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ৩ সন্তানের জননী কদবানু (৩৫)। বিষ খাওয়ার ১০ দিনপর তার মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।

ইউপি সদস্য জুলহক জানান, কদবানু কোটচাঁদপুর উপজেলার সোয়াদি গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী। সংসার জীবনে ৩ সন্তানের জননী সে। পারিবারিক কলহে গেল ৫ মে ঘাস পোড়া বিষপান করেন কদবানু।
এরপর তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

কয়েক দিন আগে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে আসেন।
শনিবার রাতে অবস্থা খারাপ হয়। এ সময় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় সে। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ ঘটনা গিয়ে মরা দেহের সরতহাল করে, ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠান।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,আমি ওই গ্রামের অনেকের সাথে কথা বলছি,তারা তেমন কিছু বলত পারল না। তবে পারিবারিক সমস্যার কারনে সে বিষপান করেন। মরা দেহের সরতহাল করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইসরাত জেরিন জানান,ঘাস পোড়া বিষটা অন্যান্য বিষের তুলনায় একটু বেশি ক্ষতিকর। এটা খেলে বাঁচার সম্ভবনা খুব কম থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কদবানু

আপডেট সময় ১১:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

কোটচাঁদ প্রতিনিধিঃ অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ৩ সন্তানের জননী কদবানু (৩৫)। বিষ খাওয়ার ১০ দিনপর তার মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।

ইউপি সদস্য জুলহক জানান, কদবানু কোটচাঁদপুর উপজেলার সোয়াদি গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী। সংসার জীবনে ৩ সন্তানের জননী সে। পারিবারিক কলহে গেল ৫ মে ঘাস পোড়া বিষপান করেন কদবানু।
এরপর তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

কয়েক দিন আগে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে আসেন।
শনিবার রাতে অবস্থা খারাপ হয়। এ সময় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় সে। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ ঘটনা গিয়ে মরা দেহের সরতহাল করে, ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠান।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,আমি ওই গ্রামের অনেকের সাথে কথা বলছি,তারা তেমন কিছু বলত পারল না। তবে পারিবারিক সমস্যার কারনে সে বিষপান করেন। মরা দেহের সরতহাল করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইসরাত জেরিন জানান,ঘাস পোড়া বিষটা অন্যান্য বিষের তুলনায় একটু বেশি ক্ষতিকর। এটা খেলে বাঁচার সম্ভবনা খুব কম থাকে।