মৌলভীবাজার পৌর শাখা’র ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) যুগ্ম আহবায়ক, পৌর বিএনপি’র সদ্য সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য ও সদ্য সাবেক অর্থ সম্পাদক মনোয়ার আহমেদ রহমান এর সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি ও পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য, পৌর বিএনপির সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব ইজদানি ইমরান এর সঞ্চালনায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র অন্যতম সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদশা।

প্রধান বক্তাঃ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র অন্যতম সদস্য মতিন বকস্।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি’র সদস্য আবুল কালাম বেলাল, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি’র সদস্য স্বাগত কিশোর দাস।

অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল মিসেস দিলারা রহমান, রন্টু কান্ত দাস, মিন্টু কান্ত দাস, মজবিল মিয়া, আজাদুর রহমান আজাদ, লতিফ মিয়া সহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন অন্যায় অত্যাচার করে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার ক্ষরণ করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রেহাই পায় নাই, এই দেশের মানুষ সয্য করেছে ছাড় দিয়েছে কিন্তু ক্ষমা করে নাই, তাই আমাদের এই সব শিক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মৌলভীবাজার পৌর শাখা সঠিক নেতৃত্বের অতীত ন্যায় ধরে রাখতে হবে। দালালের প্রচন্ড আনাগোনা সতর্ক থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।

প্রধান বক্তা বলেন কয়েক দিন যাবত হঠাৎ বিদেশি নেতাদের আবির্ভাব বক্তৃতা শুনলে মনে হয় নিজ হাতে দেশ স্বাধীন করেছেন, কিন্তু অতি কষ্টেী বিষয় তিনারা ৫ আগষ্টের আগে কোন ধরনের আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন না, বিদেশে থেকে দল এবং কর্মীদের কোন খোঁজখবর নেন নাই কিন্ত এখন উল্টো বক্তিতায় সমালোচনা করছেন যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে মামলা, হামলা, অত্যাচার দুঃখ কষ্ট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই সকল নেতা কর্মীদের! তিনি হুশিয়ারী করে ৫ আগষ্ট পরবর্তীদের কে বলেন সাবধান হয়ে যান মুখে লাগাম দিন তা না হলে সংগঠন কঠিন ব্যবস্তা নিবে।

বিশেষ অতিথি স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী বলেন আমি দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি দলের দূর দিনে এবং শহরের রাজনৈতিক অথবা প্রকৃতিক কোন অসুবিধায় এখন কার পৌর আহ্বায়ক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কে দেখিনাই! গেল ২/৩ বন্যার সময় আজকের উপস্থিত পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ কে দিন-রাত কাজ করতে দেখেছি আমি নিজেও শহরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা উনাদের সাথে ছিলেন, করনায় এই পৌর বিএনপি কাজ করেছে মনোয়ার আহমেদ রহমান এর নেতৃত্বে আপনার যারা বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন আপনি এবং আপনার কি অবধান শহরের মানুষের জন্য কিংবা দলের নেতাকর্মীদের জন্য? বড় নেতাকে ধুঁকা দেওয়া যায় কিন্তু দলের, কর্মীদের নেতা হওয়া যায় না।

বিশেষ অতিথি জনাব আবুল কালাম বেলাল বলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি আসার পর মানুষ উৎফুল্লীত হয়। আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে প্রায় বিশজন জেলা বিএনপি নেতা আহ্বায়ক জনাব ফয়জুল করিম ময়ূন সাহেব এর বাসায় উপস্থিত হন এবং উনাকে সকল নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করে বলেন বহুবছর পর মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সুসংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে আমরা সবাই আপনার সাথে আছি আপনি একটি সুন্দর এবং শক্তিশালী বিএনপি গঠন করুন। কিন্তু আমরা যে পরিস্থিতি মধ্যে আছি তা অত্যান্ত দুঃখ জনক এতো নির্যাতনের পর গনতান্ত্রিক পক্রিয়াতো দুরের বিষয় দোসর দালালে ভরপুর জেলা বিএনপি নবনিযুক্ত এক সমালোচিত ব্যক্তি এবং সদর উপজেলা, পৌর বিএনপি’র নাম করে অগণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার উপস্থিতেতে হাইব্রিড, বিদেশি, ৫ আগষ্টের আগে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তি বর্গ দের নেতৃত্বে অন্য এলাকার মানুষ দিয়ে নাটকীয় কর্মী সভা! এই সব পরিহার করুন।

সভাপতি মনোয়ার আহমেদ রহমান বলেন মহান মাতৃভাষা মাস আমরা শ্রদ্ধার সাথে সরণ করছি ১৯৫২,১৯৭১, ১৯৯০ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে আগামীর বিনির্মান বাংলাদেশ গঠন করতে ৩১ দফার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। আমরা সবাই ঐকবদ্ধ হয়ে অতীতের ন্যায় সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে তারেক রহমান এর নেতৃত্বে সোনার বাংলাদেশ গঠন করবো ইনশাআল্লাহ্।

তিনি বক্তব্যে বলেন মৌলভীবাজারে সিনিয়র জেলা বিএনপি নেতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আছেন, নির্বাচন করেছে, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আপনারাই বলুন বিগত আন্দোলন সংগ্রামে, নির্বাচনে, ডামি নির্বাচন প্রতিহত করণে ঐ সময় এই সব নেতারা কি উপস্থিত ছিলেন? কোন দায়িত্ব পালন করেছেন? দয়া করে কি বলবেন?
আমরা দল কে ভালোবাসি, জিয়ার আদর্শ ধারণ করি, তারেক রহমান এর নেতৃত্বে রাজনীতি করি, সাংগঠনিক সকল নির্দেশনাকে দায়িত্বের সাথে পালন করি। কিন্তু আপনাদের সম্মুখে যে বানোয়াট, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে, ভাড়া করে অন্য এলাকা থেকে লোক এনে দেখাচ্ছে, দয়া করে খুজ খবর নিয়।
তা না হলে দল এবং আপনি এক সময় হুমকির মুখেও পরতে পারেন।
আমি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পর বিভিন্ন উপজেলায় বক্তব্যে আওয়ামী দোসর, হাইব্রিড, সমাজে খারাপ চিহ্নিত ব্যক্তির বিএনপিতে ঠাই নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছি, তা কি সঠিক রাখা যাচ্ছে? এটা আমার নেতা জনাব তারেক রহমান এব বক্তব্য ছিলো, আমাদের অভিভাবক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আহ্বায়ক জনাব মো: ফয়জুল করিম ময়ূন আপনি ঐক্যের প্রতিক এই উপাধি আপনাকে আমরা তৃণমূল থেকে উঠে আসা কর্মীরা গর্বের সাথে বলেছি। আপনি নিশ্চয়ই সুবিধাভোগী, দাদাল মার্কা অমানুষের জন্য আপনার নিজ এবং দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখবেন, এটি আমরা বিশ্বাস করি।

আমরা ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি দিচ্ছি এই কমিটি গণতান্ত্রিক উপায়ে সন্মেলন ও কাউন্সিল এর মাধ্যমে ৭১ বিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে।

আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য বদরুল আলম নোমান, সদস্য সহিদ আহমদ জুনেদ, সদস্য রুনু আহমদ, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিনুর রসিদ, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল হাসান, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খসরু আহমদ, মিলাদ হেসেন, তালেব মিয়া সহ প্রমুখ।