ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা কুলাউড়ায় সরকারি জমি উদ্ধার গ্রে ফ তা র হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির

বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদপ্রত্যাশী মো. এমরুল হোসেন এই অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সরকারি কলেজের ফেসবুক পেজে কলেজে ইংরেজিসহ আরও কয়েকটি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মো. এমরুল হোসেন যথারীতি ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এমরুল হোসেন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খদন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী তার কক্ষে এমরুলকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এসময় তাকে বড়লেখা সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাকে জানানো হয়, তার ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অপর প্রার্থীর মধ্যে প্রদর্শনীমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও তাকে ডেকে নেওয়া হয়নি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারেন বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে (যিনি পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ০১ অক্টোবর তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

 

 

অভিযোগকারী মো. এমরুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। আমাকে কলেজে যোগদানের জন্যও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা আমাকে বাদ দিয়ে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি আমার চেয়ে পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও স্যার সহকারি কমিশনার (ভূমি)-কে নিদের্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ্র বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদপ্রত্যাশী মো. এমরুল হোসেন এই অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সরকারি কলেজের ফেসবুক পেজে কলেজে ইংরেজিসহ আরও কয়েকটি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মো. এমরুল হোসেন যথারীতি ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এমরুল হোসেন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খদন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী তার কক্ষে এমরুলকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এসময় তাকে বড়লেখা সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাকে জানানো হয়, তার ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অপর প্রার্থীর মধ্যে প্রদর্শনীমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও তাকে ডেকে নেওয়া হয়নি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারেন বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে (যিনি পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ০১ অক্টোবর তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

 

 

অভিযোগকারী মো. এমরুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। আমাকে কলেজে যোগদানের জন্যও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা আমাকে বাদ দিয়ে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি আমার চেয়ে পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও স্যার সহকারি কমিশনার (ভূমি)-কে নিদের্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ্র বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।