ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২  কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ১৭২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।