ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে প্রবাসীদের অর্থায়নে গেইট স্থাপন চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২১৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।