ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজনগর উপজেলার বিএনপির ৮টি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি বাতিল ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সদস্য সচিব রিপন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা বাংলাদেশ স্কাউটস ত্রৈ বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মশক নিধন কর্মসূচি উদ্বোধন কাকের হাত থেকে রক্ষা পেল লক্ষীপেঁচা বিএনপির ৩১ দফা শুধু আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের জন্য নয়, এটা দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য- এম নাসের রহমান মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি মুনসুর আলী একাডেমীর ভবনে আওয়ামী লীগের অপকর্মের খতিয়ান জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে- সাবেক এমপি নাসের রহমান একজন শীতার্ত মানুষের গায়ে একটি কম্বল দিতে পারা অনেক আনন্দের বিষয়- এম নাসের রহমান

বাংলাদেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করছেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের কংগ্রেস নেতা, লোকসভার সদস্য ও কলামিস্ট শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির রক্ষা করছেন।

 

শনিবার (১০ আগস্ট) এনডিটিভির এক টকশোতে এ কথা বলেন প্রবীণ এই ভারতীয় রাজনীতিক।

 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাকে আশ্রয় দেওয়াই সমীচীন, আশ্রয় না দিলে বরং লজ্জার বিষয় হতো। তবে বাংলাদেশে গঠিত হতে যাওয়া নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কেননা, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা বিশ্বে সমাদৃত একজন সজ্জন মানুষ।

 

বাংলাদেশ-ভারত দীর্ঘ দিনের ‘ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এই সম্পর্কের মৌলিক প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও শেষে কোনো বাংলাদেশি নেতা। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি ১৯৭১ সাল থেকেই।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করছেন সাবেক এই কূটনীতিক।

 

তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল, পাকিস্তান এবং চীন ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে কি না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বা ইউনূসের প্রাথমিক বিবৃতিতে এমন কিছুর ইঙ্গিত নেই। ইউনূস শান্তির কথা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তির স্থিতিশীলতার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি শেখ হাসিনাকে সাহায্য না করতাম তাহলে এটা ভারতের জন্য কলঙ্কজনক হতো। আমি মনে করি, বর্তমান সরকার ও বিরোধী দলের সকল ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক ছিল, তিনি ভারতের বন্ধু এবং ভারত তার বন্ধু। যখন কোনো বন্ধু সমস্যায় পড়ে তখন আপনি সাহায্য করার জন্য দুবার ভাববেন না। ভারত ঠিক এটিই করেছে এবং এটি করার জন্য আমি সরকারকে সাধুবাদ জানাই।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করছেন

আপডেট সময় ১০:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের কংগ্রেস নেতা, লোকসভার সদস্য ও কলামিস্ট শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির রক্ষা করছেন।

 

শনিবার (১০ আগস্ট) এনডিটিভির এক টকশোতে এ কথা বলেন প্রবীণ এই ভারতীয় রাজনীতিক।

 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাকে আশ্রয় দেওয়াই সমীচীন, আশ্রয় না দিলে বরং লজ্জার বিষয় হতো। তবে বাংলাদেশে গঠিত হতে যাওয়া নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কেননা, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা বিশ্বে সমাদৃত একজন সজ্জন মানুষ।

 

বাংলাদেশ-ভারত দীর্ঘ দিনের ‘ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এই সম্পর্কের মৌলিক প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও শেষে কোনো বাংলাদেশি নেতা। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি ১৯৭১ সাল থেকেই।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করছেন সাবেক এই কূটনীতিক।

 

তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল, পাকিস্তান এবং চীন ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে কি না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বা ইউনূসের প্রাথমিক বিবৃতিতে এমন কিছুর ইঙ্গিত নেই। ইউনূস শান্তির কথা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তির স্থিতিশীলতার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি শেখ হাসিনাকে সাহায্য না করতাম তাহলে এটা ভারতের জন্য কলঙ্কজনক হতো। আমি মনে করি, বর্তমান সরকার ও বিরোধী দলের সকল ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক ছিল, তিনি ভারতের বন্ধু এবং ভারত তার বন্ধু। যখন কোনো বন্ধু সমস্যায় পড়ে তখন আপনি সাহায্য করার জন্য দুবার ভাববেন না। ভারত ঠিক এটিই করেছে এবং এটি করার জন্য আমি সরকারকে সাধুবাদ জানাই।