ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আ.লীগ নিষিদ্ধের একদফা দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার ভারতের ১৫ টি শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মৌলভীবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান শ্রীমঙ্গল কলার বাজার থেকে বিষধর পিট ভাইপার সাপ উদ্ধার মৌলভীবাজার সীমান্তে পুশ ইন বাড়তি নজরদারি আইজিপির নির্দেশের পর সতর্কাবস্থানে মৌলভীবাজারসহ সিলেটের চার পুলিশ সুপার মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী কাতারের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্রে বছরের প্রথম চা নিলাম অনুষ্টিত

বাওড়ের রানী মাছ রক্ষায় কেমিক্যাল দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ বাওড়ের রানী মাছ রক্ষায় ও জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন সহ অন্যান্য কেমিক্যাল দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
সোমবার দুপুরে স্থানীয়  মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সিনিয়র সদস্য রশীত হালদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সুশান্ত হালদার, দীপেন হালদার ও প্রসেনজিত হালদার।
তিনি বলেন,বাপ দাদার আমল থেকে এ বাওড়ে আমরা মাছ চাষ করে আসছি। আমরা কোনদিন এ বাওড়ে লবন,চুন,কেমিক্যাল ব্যবহার করতে দেখিনি।এ বাওড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির রানী মাছ। এ সব মাছের  মধ্যে টেংকা,শরপুটি,তোড়া পাকাল,কাল বাউস,শল্লা আড়,শল,বেলে,রাম বেলে। এ ছাড়া রয়েছে, কুচে,শুনদি,নুন চিংড়ি,গলদা চিংড়ি। এ সব আহরন করে বাওড় পাড়ের গরীব মানুষেরা জীবিকা নিবাহ করে থাকেন।
এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল বাওড়টি স্থানীয় সন্তোস হালদার সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করছেন।
রশীত হালদার অভিযোগ করে বলেন,বাওড়টি পাওয়ার পর থেকে তারা বাওড়ের জল পরিস্কার করার নামে,জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন,সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন। এতে করে নস্ট হচ্ছে বাওড়ের রানী মাছ। বাওড় হারাচ্ছে তাঁর পরিবেশের ভারসাম্য।
অন্যদিকে,বাওড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, আমাদের অতি পরিচিত রানী মাছ। যা আর কোন দিন বাওড়ে দেখা যাবে না,সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবী করেছেন হালদার সম্প্রদায়েরা মানুষেরা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,বাওড়ের ইজারা হস্তান্তর যোগ্য না। এরপরও সন্তোষ হালদার নিয়ম বহিভূত ভাবে তা হস্তান্তর করেছেন বিজয় হালদারের কাছে। যার ওই সমিতির সদস্য পদটিও নাই। বিজয় হালদার বাওড়টি বুঝে নিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের সাথে করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। যাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে তারা বাওড়ে চাষও শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন,তারা এহেন কাজের সুষ্ট তদন্তের দাবি করেছেন। এ ছাড়া বাওড়ের রানী মাছ রক্ষার দাবী তাদের। আর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাওড়ের জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন সহ কেমিক্যাল ব্যবহারের।
এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,রামচন্দ্রপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে বাওড়টি ডাকা। তবে এত বড় বাওড় একা চাষ করা সম্ভব না। এ কারনে কয়েক জন মিলে চাষ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা আমার স্বজাতি ভাই। আমার কাছে আসলে, তাদের একটা ব্যবস্থা করে দিতাম,তা না করে,তারা অন্যের কথা মত হাটছে। তারা যে, অভিযোগ করেছেন, সেটা মিথ্যা। চুন,লবন দিলে জলের কোন ক্ষতি হয় না। বরং আরো ভাল হয়।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাওড়ের রানী মাছ রক্ষায় কেমিক্যাল দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৩:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ বাওড়ের রানী মাছ রক্ষায় ও জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন সহ অন্যান্য কেমিক্যাল দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
সোমবার দুপুরে স্থানীয়  মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সিনিয়র সদস্য রশীত হালদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সুশান্ত হালদার, দীপেন হালদার ও প্রসেনজিত হালদার।
তিনি বলেন,বাপ দাদার আমল থেকে এ বাওড়ে আমরা মাছ চাষ করে আসছি। আমরা কোনদিন এ বাওড়ে লবন,চুন,কেমিক্যাল ব্যবহার করতে দেখিনি।এ বাওড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির রানী মাছ। এ সব মাছের  মধ্যে টেংকা,শরপুটি,তোড়া পাকাল,কাল বাউস,শল্লা আড়,শল,বেলে,রাম বেলে। এ ছাড়া রয়েছে, কুচে,শুনদি,নুন চিংড়ি,গলদা চিংড়ি। এ সব আহরন করে বাওড় পাড়ের গরীব মানুষেরা জীবিকা নিবাহ করে থাকেন।
এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল বাওড়টি স্থানীয় সন্তোস হালদার সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করছেন।
রশীত হালদার অভিযোগ করে বলেন,বাওড়টি পাওয়ার পর থেকে তারা বাওড়ের জল পরিস্কার করার নামে,জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন,সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন। এতে করে নস্ট হচ্ছে বাওড়ের রানী মাছ। বাওড় হারাচ্ছে তাঁর পরিবেশের ভারসাম্য।
অন্যদিকে,বাওড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, আমাদের অতি পরিচিত রানী মাছ। যা আর কোন দিন বাওড়ে দেখা যাবে না,সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবী করেছেন হালদার সম্প্রদায়েরা মানুষেরা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,বাওড়ের ইজারা হস্তান্তর যোগ্য না। এরপরও সন্তোষ হালদার নিয়ম বহিভূত ভাবে তা হস্তান্তর করেছেন বিজয় হালদারের কাছে। যার ওই সমিতির সদস্য পদটিও নাই। বিজয় হালদার বাওড়টি বুঝে নিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের সাথে করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। যাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে তারা বাওড়ে চাষও শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন,তারা এহেন কাজের সুষ্ট তদন্তের দাবি করেছেন। এ ছাড়া বাওড়ের রানী মাছ রক্ষার দাবী তাদের। আর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাওড়ের জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন সহ কেমিক্যাল ব্যবহারের।
এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,রামচন্দ্রপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে বাওড়টি ডাকা। তবে এত বড় বাওড় একা চাষ করা সম্ভব না। এ কারনে কয়েক জন মিলে চাষ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা আমার স্বজাতি ভাই। আমার কাছে আসলে, তাদের একটা ব্যবস্থা করে দিতাম,তা না করে,তারা অন্যের কথা মত হাটছে। তারা যে, অভিযোগ করেছেন, সেটা মিথ্যা। চুন,লবন দিলে জলের কোন ক্ষতি হয় না। বরং আরো ভাল হয়।