ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
টমটম পার্কিং নিয়ে সংঘর্ষ আটক -১৪ শাহ মোস্তফা পৌর ঈদগাহে হাজার মানুষের ঢল,তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত গ্রেটার সিলেট ডেভেলপয়েন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল (জিএসসি) ইন ইউকে এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ  বিতরণ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঊষার আলো সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদের আনন্দ ৬০ ঘন্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব জুড়ীতে দারুল কিরাত ফুলতলী ট্রাষ্টের সমাপনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এম নাসের রহমান

বিএনপি নেতা জি কে গউছ রিমান্ডে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য করা জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘জি কে গউছ পরস্পর যোগসাজশে তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে জি কে গউছ ঢাকা ও তার আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।

 

তাকে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাকে জানানোর জন্য আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ওই মামলার অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

 

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট পুলিশ বাদী হয়ে জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে সাতশোর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি নেতা জি কে গউছ রিমান্ডে

আপডেট সময় ০৩:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য করা জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘জি কে গউছ পরস্পর যোগসাজশে তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে জি কে গউছ ঢাকা ও তার আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।

 

তাকে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাকে জানানোর জন্য আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ওই মামলার অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

 

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট পুলিশ বাদী হয়ে জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে সাতশোর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ ।