ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সম্মেলনে হামলা: ৫ নেতা শোকজ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৪৮৮ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ কুলাউড়ার সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ভাই নবাব আলী তকী খানসহ পৃথিমপাশা বিএনপির ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে হামলা ভাংচুর, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেওয়ার অভিযোগ এনে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতৃবৃন্দ হলেন পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য  সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ছোট ভাই নবাব আলী তকী খান, এমপির ঘনিষ্ঠ আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন ও আব্বাস আলী মেম্বার বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী ও মো শামছুল ইসলাম। গত ২৫ মে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান এবং যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান ৩ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময় বেধে দিয়ে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।

 

কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২৩ মে শুক্রবার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল চলাকালে অভিযুক্ত নেতারা ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে হামলা করে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করেন। তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেন।

 

নোটিশের কপি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ জি কে গউছ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনকে সরবরাহ করা হয়।

বিএনপির দলীয় এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,২৩ মে  শুক্রবার  রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল ছিলো। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অতিথিরা এলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল শুরু করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা ও  ইউনিয়ন কাউন্সিলের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুইয়া।উপজেলা বিএনপির নেতা আকদ্দস আলী মাস্টার,মঈনুল হক বকুল  এবং  আবু সুফিয়ানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে কাউন্সিলের  কার্যক্রম শুরু হয়। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বেলাল আহমেদ রব্বানের  নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে কাউন্সিলে বাধার সৃষ্টি করে। এসময় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  কাউন্সিলের প্রধান অতিথি ও ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে কুলাউড়ায়  ফিরে যান।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির সম্মেলনে হামলা: ৫ নেতা শোকজ

আপডেট সময় ১১:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টঃ কুলাউড়ার সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ভাই নবাব আলী তকী খানসহ পৃথিমপাশা বিএনপির ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে হামলা ভাংচুর, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেওয়ার অভিযোগ এনে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতৃবৃন্দ হলেন পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য  সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ছোট ভাই নবাব আলী তকী খান, এমপির ঘনিষ্ঠ আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন ও আব্বাস আলী মেম্বার বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী ও মো শামছুল ইসলাম। গত ২৫ মে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান এবং যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান ৩ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময় বেধে দিয়ে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।

 

কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২৩ মে শুক্রবার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল চলাকালে অভিযুক্ত নেতারা ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে হামলা করে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করেন। তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেন।

 

নোটিশের কপি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ জি কে গউছ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনকে সরবরাহ করা হয়।

বিএনপির দলীয় এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,২৩ মে  শুক্রবার  রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল ছিলো। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অতিথিরা এলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল শুরু করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা ও  ইউনিয়ন কাউন্সিলের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুইয়া।উপজেলা বিএনপির নেতা আকদ্দস আলী মাস্টার,মঈনুল হক বকুল  এবং  আবু সুফিয়ানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে কাউন্সিলের  কার্যক্রম শুরু হয়। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বেলাল আহমেদ রব্বানের  নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে কাউন্সিলে বাধার সৃষ্টি করে। এসময় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  কাউন্সিলের প্রধান অতিথি ও ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে কুলাউড়ায়  ফিরে যান।