ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংকে গিয়ে জানলেন তিনি মৃত!

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক ব্যবসায়ী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়, তিনি মৃত।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মসুদ আহমদের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাঁও গ্রামের পাইকপাড়া বাজারে তার একটি রেস্তোরাঁ আছে।

মসুদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে জরুরি কাজের জন্য এক আত্মীয় তার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। টাকা তুলতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা সদরের একটি ব্যাংকের শাখায় যান। তবে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে নিজেকে ‘মৃত’ উল্লেখ করা দেখে বিস্মিত হন। পরে তিনি সার্ভার থেকে বিস্তারিত তথ্য ডাউনলোড করেন।

নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডাউনলোড করা তথ্য অনুযায়ী, মসুদের জন্ম ১৯৮১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে মসুদের ‘স্ট্যাটাস’ মৃত উল্লেখ করা। ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর মসুদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মসুদ বলেন, মৌলভীবাজার থেকে গত বুধবার তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ‘জীবিত’, এই মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন। পরে বৃহস্পতিবার তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলের কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগীর আবেদন হাতে পেলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাংকে গিয়ে জানলেন তিনি মৃত!

আপডেট সময় ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক ব্যবসায়ী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়, তিনি মৃত।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মসুদ আহমদের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাঁও গ্রামের পাইকপাড়া বাজারে তার একটি রেস্তোরাঁ আছে।

মসুদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে জরুরি কাজের জন্য এক আত্মীয় তার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। টাকা তুলতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা সদরের একটি ব্যাংকের শাখায় যান। তবে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে নিজেকে ‘মৃত’ উল্লেখ করা দেখে বিস্মিত হন। পরে তিনি সার্ভার থেকে বিস্তারিত তথ্য ডাউনলোড করেন।

নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডাউনলোড করা তথ্য অনুযায়ী, মসুদের জন্ম ১৯৮১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে মসুদের ‘স্ট্যাটাস’ মৃত উল্লেখ করা। ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর মসুদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মসুদ বলেন, মৌলভীবাজার থেকে গত বুধবার তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ‘জীবিত’, এই মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন। পরে বৃহস্পতিবার তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলের কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগীর আবেদন হাতে পেলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।