ভোটের দিন কোথায় আরিফ?
- আপডেট সময় ০৬:১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
- / ৫৯০ বার পড়া হয়েছে
সিলেট সিটি করেপােরেশন নির্বাচনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিয়ে কৌতুহল যেন কিছুতেই কমছে না। নির্বাচনে অংশ না নিয়েও রয়েছেন আলোচনায়। আজ যখন সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহন চলছে তখন কোথায় বিএনপি থেকে দুইবার নির্বাচিত এই মেয়র। পুরো নির্বাচনী প্রচারে ঘুরেফিরে আলোচনায় এসেছেন তিনি। সিলেটে যখন ভোট হচ্ছে তখন কোথায় আছেন আরিফ?
জানা গেছে, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আজ (২১ জুন) তাঁর দাদা আছ্নে। আজ সারাদিন তিনি সেখানেই অবস্থান করেছ্ন।
গতকাল ২০ জুন রাতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই আমি প্রার্থী হ্ইনি। নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। জনগণকে এই নির্বাচন বয়কট করার আহবান করছি। আজ সারাদিন আমি আমার দাদাবাড়ি থাকবো। সেখানে আম কুড়াবো।
এদিকে সিলেটে আজ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে- সকাল ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরণের কৌতুহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।
কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়- পুরুষদের চাইতে নারী ভোটারের লাইন দীর্ঘ। তাদের মাঝেও রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এবারের সিসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে মোট ১৯০টি। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা হলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার।
আজকের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি- এই তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে মো. আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে, মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীকে ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী সিসিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যেই।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।