ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বড়লেখায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ভাই নি হ ত মনিপুরি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তারুণ্যের নবযাত্রা স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান, সাভারে নেতাকর্মীদের জনসমুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ পালিত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৫ নেতা গ্রে ফ তা র তারেক রহমানকে বরণ করতে মৌলভীবাজারের নেতাকর্মীরা ঢাকায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহনকারী ফ্লাইট তারেক রহমানের নিরাপদ স্বদেশ আগমন কামনায় মৌলভীবাজারে দোয়া মাহফিল কমলগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলো ৪৬ বিজিবি

ভ্যান চালকের উদারতায় চাকরী বাঁচলো মোস্তফা কামালের

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ব্যাগ ভর্তি গুলি হারিয়ে চাকুরী হারাতে বসেছিলেন মোস্তফা কামাল নামের এক নিরাপত্তা প্রহরী। পরে ভ্যান চালক সাইদুল ইসলামের উদারতায় গুলি ফিরে পেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পেলেন  তিনি। ওই ভ্যান চালক কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর কারিগর পাড়ার মৃত আনসার আলীর ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার (০৩-১০-২৪) তারিখে ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহে ডাক বাংলা শাখার
নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর ইসলামী ব্যাংক শাখায় অফিসের কাজে আসেন। কাজ শেষে হারিয়ে ফেলেন তাঁর শর্ট গানের ৯ রাউন্ড গুলি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে করে না পেয়ে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেন। জিডি নাম্বার ১১৪,তারিখ -০৩-১০-২৪। পরে ভ্যান চালক গুলি গুলো পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার এক পুলিশের সহায়তায় জমা দেন। এরপর পুলিশ জিডি মুলে গুলি গুলো মোস্তফা কামালকে বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই)  আল মাসুদ মিয়া। ওই গুলি গুলো শর্টগানের গুলি ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। চালক সাইদুল ইসলাম বলেন,ভ্যান চালিয়ে আমার জীবন যাপন হয়। দীর্ঘ ৩০ বছর আমি ভ্যান চালায়। বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের সামনে যাচ্ছিলাম। এ সময় ব্যাংকের সামনে গুলি ভর্তি ব্যাগটি দেখতে পায়।

আমি তুলে ভ্যানে রাখি। কিছুক্ষন পর ব্যাগ খুলে দেখতে ব্যাগের গুলি। এরপর থানার এক পুলিশের সহায়তায় গুলিগুলো জমা দিয়ে আসি। পরে জানতে পেরেছি ওই গুলিগুলো ইসলামী ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর। তবে ওনার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। সাইদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর সলেমানপুরের কারিগর পাড়ার মৃত আনসার আলীর ছেলে। পেশায় ভ্যান চালক। ৩ ছেলে ১ মেয়ের জনক তিনি।
ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহর ডাক বাংলা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল বলেন,বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর ইসলামী ব্যাংক শাখায় অফিসের কাজে গিয়ে ছিলাম। ফেরার পথে আমার কাছে থাকা শর্টগানের ৯ রাউন্ড গুলি পথে কোথাও পড়ে যায়। ব্যাংকে এসে বুঝতে পারি আমার গুলি হারিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইদিন কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করা হয়। জিডি নাম্বার ছিল -১১৪ তারিখ ০৩-১০-২৪।
তিনি বলেন,জিডি করার ৩/৪ ঘন্টা পর জানতে পারি গুলি পাওয়া গেছে।

গুলি কিভাবে পেলেন,কে পেয়ে দিলো,আপনি তাঁকে চিনেন কিনা বা কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি জানতে পেরেছি একজন ভ্যান চালক পেয়ে থানায়  গুলি জমা দিয়ে গেছেন। ওনাকে আমি চিনিনা। আর থানা থেকে ওনার নাম গোপন রেখে ছিল। গুলি না পেলে হয়তো আমার চাকুরী চলে যেত। গুলি পাওয়া গেছে, তারপরও কি হবে আমার জানা নাই।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন,বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহ ডাক বাংলা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর ব্যাংকে অফিসের কাজে আসছিল। ওই গুলি গুলো মিসিং হয়। বুঝতে পেরে থানায় জিডি করেন তিনি।
এরপর শহিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যান চালক গুলি পেয়ে আমার থানার পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর জিডি করে গুলিগুলো রেখে পরে ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। গুলি না পেলে কি ধরনের সমস্যা হত নিরাপত্তা প্রহরীর। এর জবাব তিনি বলেন চাকুরী হারানো সহ আরো সমস্যা হতে পারতো তাঁর।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভ্যান চালকের উদারতায় চাকরী বাঁচলো মোস্তফা কামালের

আপডেট সময় ১০:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ব্যাগ ভর্তি গুলি হারিয়ে চাকুরী হারাতে বসেছিলেন মোস্তফা কামাল নামের এক নিরাপত্তা প্রহরী। পরে ভ্যান চালক সাইদুল ইসলামের উদারতায় গুলি ফিরে পেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পেলেন  তিনি। ওই ভ্যান চালক কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর কারিগর পাড়ার মৃত আনসার আলীর ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার (০৩-১০-২৪) তারিখে ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহে ডাক বাংলা শাখার
নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর ইসলামী ব্যাংক শাখায় অফিসের কাজে আসেন। কাজ শেষে হারিয়ে ফেলেন তাঁর শর্ট গানের ৯ রাউন্ড গুলি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে করে না পেয়ে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেন। জিডি নাম্বার ১১৪,তারিখ -০৩-১০-২৪। পরে ভ্যান চালক গুলি গুলো পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার এক পুলিশের সহায়তায় জমা দেন। এরপর পুলিশ জিডি মুলে গুলি গুলো মোস্তফা কামালকে বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই)  আল মাসুদ মিয়া। ওই গুলি গুলো শর্টগানের গুলি ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। চালক সাইদুল ইসলাম বলেন,ভ্যান চালিয়ে আমার জীবন যাপন হয়। দীর্ঘ ৩০ বছর আমি ভ্যান চালায়। বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের সামনে যাচ্ছিলাম। এ সময় ব্যাংকের সামনে গুলি ভর্তি ব্যাগটি দেখতে পায়।

আমি তুলে ভ্যানে রাখি। কিছুক্ষন পর ব্যাগ খুলে দেখতে ব্যাগের গুলি। এরপর থানার এক পুলিশের সহায়তায় গুলিগুলো জমা দিয়ে আসি। পরে জানতে পেরেছি ওই গুলিগুলো ইসলামী ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর। তবে ওনার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। সাইদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর সলেমানপুরের কারিগর পাড়ার মৃত আনসার আলীর ছেলে। পেশায় ভ্যান চালক। ৩ ছেলে ১ মেয়ের জনক তিনি।
ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহর ডাক বাংলা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল বলেন,বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর ইসলামী ব্যাংক শাখায় অফিসের কাজে গিয়ে ছিলাম। ফেরার পথে আমার কাছে থাকা শর্টগানের ৯ রাউন্ড গুলি পথে কোথাও পড়ে যায়। ব্যাংকে এসে বুঝতে পারি আমার গুলি হারিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইদিন কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করা হয়। জিডি নাম্বার ছিল -১১৪ তারিখ ০৩-১০-২৪।
তিনি বলেন,জিডি করার ৩/৪ ঘন্টা পর জানতে পারি গুলি পাওয়া গেছে।

গুলি কিভাবে পেলেন,কে পেয়ে দিলো,আপনি তাঁকে চিনেন কিনা বা কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি জানতে পেরেছি একজন ভ্যান চালক পেয়ে থানায়  গুলি জমা দিয়ে গেছেন। ওনাকে আমি চিনিনা। আর থানা থেকে ওনার নাম গোপন রেখে ছিল। গুলি না পেলে হয়তো আমার চাকুরী চলে যেত। গুলি পাওয়া গেছে, তারপরও কি হবে আমার জানা নাই।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন,বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহ ডাক বাংলা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর ব্যাংকে অফিসের কাজে আসছিল। ওই গুলি গুলো মিসিং হয়। বুঝতে পেরে থানায় জিডি করেন তিনি।
এরপর শহিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যান চালক গুলি পেয়ে আমার থানার পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর জিডি করে গুলিগুলো রেখে পরে ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। গুলি না পেলে কি ধরনের সমস্যা হত নিরাপত্তা প্রহরীর। এর জবাব তিনি বলেন চাকুরী হারানো সহ আরো সমস্যা হতে পারতো তাঁর।