মনু নদী ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্প ফুসে উঠেছেন এলাকাবাসী
- আপডেট সময় ০৯:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
- / ৬৫৯ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে হাজার কোটি টাকার কাজে নয়ছয়” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা। জেলার সচেতন মহলও মেগা প্রকল্পে অনিয়মের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা যায়, ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে “মনু নদের ভাঙন থেকে কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর রক্ষা” প্রকল্পের সুবিধাভোগী রাজনগর উপজেলা কামারচাক ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের পূর্বপর্যন্ত অধিকাংশ সাইটে ছিলনা ব্যয় নির্দেশিকা সাইন বোর্ড। সংবাদ প্রকাশের পরপরই কয়েকটি সাইটে সাইন বোর্ড টাঙিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সরেজমিন দেখা যায়, ১৩ মে শ্বাসমহল ও মালিকনা সাইটে ঠিকাদারের লোকজন সাইন বোর্ড টাঙিয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের পরপরই কোনাগাঁও-খেয়াঘাট সাইটের নিম্নমানের ও সিমেন্ট মিশ্রিত পুরাতন পাথর পাতিল ঘোষণা করা হয়।
জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সরকারের এই মেগা প্রকল্পে অনিয়ম হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উদাসিন। অনিয়মের সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান খান, কামারচাক একতা যুব সংঘের সভাপতি মান্না সালামত মজনু, বাজার ব্যবসায়ী বদরুল ইসলাম, হাসনাত মিয়া, তছির আলী, মহব্বত আলী, জমির আলী, বশির মিয়া, ইনচান মিয়া, আসদ আলী, ডাঃ লিয়াকত, সমাজ সেবক আজিম ও আল-আমীন প্রমুখ।
এম এম বিল্ডার্স এর ম্যানেজার মোঃ সুহান আলী বলেন, ভুলে করে আমাদের পার্টি কিছু খারাপ পাথর দিয়েছিল। পাথর দেখার পরই সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দেই এবং পাথর বাতিল ঘোষণা করি।
কামারচাক ইউনিয়নের আয়াজ আহমদ ও আবুল কালাম ছানু বলেন, ইতিপূর্বে মনুনদী ড্রেজিং এর নামে সরকারের কয়েক কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে। কিন্তু এবার এরকম হলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।