ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিষ্টির দোকানিকে পেটালেন এমপির গানম্যান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩
  • / ৮৪৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নাস্তায় মিষ্টির সাথে নিমকি কেন মচমচে হয়নি, এমন অভিযোগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক মিষ্টির দোকানিকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গানম্যান সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।

গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের সুধা মিস্টান্ন ভান্ডারে এই ঘটনাটি ঘটে। পিটুনির শিকার ব্যবস্থাপকের নাম আরফান মিয়াকে (৩৩)।

ঘটনার পর আরফান মিয়া স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর গানম্যানের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান আরফান। ভয়ে মুখ খুলছেন না তার পরিবারও।

এমপির গানম্যান কর্তৃক দোকানির গায়ে হাত তোলার ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

স্থানীয় ও ঘটনার ভিডিও সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনীর সুধা মিস্টান্ন ভান্ডারে দলবল নিয়ে নাস্তা করতে যান স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গানম্যান সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। এসময় মিষ্টির সাথে নিমকির মান নিয়ে তিনি চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। পরে ব্যবস্থাপকের টেবিলের সামনে এসে হাত উচিয়ে সবাইকে শাসাতে থাকেন। দোকানের ভেতর সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় ব্যবস্থাপককে দোকানের ভেতর থেকে ঘাড় ধরে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের আড়ালে নিয়ে যান এএসআই মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। সেখানে আরফানকে বেধড়ক পেটান। তবে পুলিশের কর্মকর্তা হওয়ায় ভয়ে তাকে রক্ষা করতে কেউই এগিয়ে আসেননি।

 

পরবর্তীতে পিটুনিতে আহত আরফান মিয়া চিকিৎসা নেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে এরপর থেকে আর দোকানে আসেননি ভয়ে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি (আরফান) কথা না বলায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তার স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী কথা বললেও তিনিও বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না।’

আরফান এখন কোথায় আছেন এমন তথ্য দিতে তিনি (নারী) রাজি হননি।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে সুধা মিস্টান্ন ভান্ডার যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানায়, দোকানের মালিক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে কর্মচারীরা ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছুই ঘটেনি। যা ঘটেছিল মিমাংসা হয়ে গেছে।’

এই বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বলেন, ‘আমি কিছু জানি-না। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মিষ্টির দোকানিকে পেটালেন এমপির গানম্যান

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নাস্তায় মিষ্টির সাথে নিমকি কেন মচমচে হয়নি, এমন অভিযোগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক মিষ্টির দোকানিকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গানম্যান সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।

গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের সুধা মিস্টান্ন ভান্ডারে এই ঘটনাটি ঘটে। পিটুনির শিকার ব্যবস্থাপকের নাম আরফান মিয়াকে (৩৩)।

ঘটনার পর আরফান মিয়া স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর গানম্যানের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান আরফান। ভয়ে মুখ খুলছেন না তার পরিবারও।

এমপির গানম্যান কর্তৃক দোকানির গায়ে হাত তোলার ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

স্থানীয় ও ঘটনার ভিডিও সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনীর সুধা মিস্টান্ন ভান্ডারে দলবল নিয়ে নাস্তা করতে যান স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গানম্যান সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। এসময় মিষ্টির সাথে নিমকির মান নিয়ে তিনি চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। পরে ব্যবস্থাপকের টেবিলের সামনে এসে হাত উচিয়ে সবাইকে শাসাতে থাকেন। দোকানের ভেতর সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় ব্যবস্থাপককে দোকানের ভেতর থেকে ঘাড় ধরে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের আড়ালে নিয়ে যান এএসআই মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। সেখানে আরফানকে বেধড়ক পেটান। তবে পুলিশের কর্মকর্তা হওয়ায় ভয়ে তাকে রক্ষা করতে কেউই এগিয়ে আসেননি।

 

পরবর্তীতে পিটুনিতে আহত আরফান মিয়া চিকিৎসা নেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে এরপর থেকে আর দোকানে আসেননি ভয়ে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি (আরফান) কথা না বলায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তার স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী কথা বললেও তিনিও বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না।’

আরফান এখন কোথায় আছেন এমন তথ্য দিতে তিনি (নারী) রাজি হননি।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে সুধা মিস্টান্ন ভান্ডার যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানায়, দোকানের মালিক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে কর্মচারীরা ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছুই ঘটেনি। যা ঘটেছিল মিমাংসা হয়ে গেছে।’

এই বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বলেন, ‘আমি কিছু জানি-না। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’