মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি মুনসুর আলী একাডেমীর ভবনে
- আপডেট সময় ০৬:০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ ) প্রতিনিধিঃ
মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমীর। বন জন্মেছে নির্মাণাধীন ভবনে। এদিকে কক্ষ সংকটে ছাত্র/ ছাত্রীদের আসন সংকুলানে সমস্যায় আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের। এ অবস্থা চলছে সাবদারপুরের মুনসুর আলী একাডেমীতে। ওই ভবনের কাজ নিয়ে পাল্টা- পাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোটচাঁদপুরে সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমীর ৪ র্থ তলা ভবনের ১ম তলার নির্মান কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি। কাজটি করছিলেন ঝিনাইদহের মেসার্স রিফাত আরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। যা শেষ হবার কথা ছিল ওই বছরের ১৩-১০-২১ তারিখে। যা কাজ শুরুর ৩৮ মাসেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণাধীন ভবনে জন্মেছে বন। এদিকে বিদ্যালয়টিতে রয়েছে কক্ষ সংকট। এতে করে ছাত্র/ ছাত্রীদের আসন সংকুলানে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন,এ বিদ্যালয়ে ৭ শ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। ওই সব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রয়োজন ২০ টি কক্ষ। যার মধ্যে বিদ্যালয়ে আছে ১০ টি কক্ষ। ছেলে মেয়েরদের ক্লাস নিতে হয় ল্যাব,কমনরুম ও লাইব্রেরীতে।
তিনি বলেন, আশা করেছিলাম নতুন ৪ তলা ভবনের ১ম তলার কাজ শেষ হলে ছাত্র ছাত্রীদের বসার জায়গার সমস্যার সমাধান হবে। কিন্ত সে সমস্যা এখন আরো প্রকট হয়েছে। গেল ৪ বছরে যে ছাত্র ছাত্রী ছিল। এখন তা বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। এ বছর ছাত্র ছাত্রীদের বসার জায়গা নাই। ক্লাস নিতে হবে গাছ তলায়।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এদিকে ভবনের কাজটি নিয়ে পাল্টা- পাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মহিবুল রহমান বলেন,কাজ শুরুর পর থেকে ৫০ লক্ষ্যাধিক টাকার কাজ করা হয়েছে ভবনটিতে। বিল পেয়েছি মাত্র ৮ লাখ টাকার। তিনি বলেন,ওই প্রকল্পের ফান্ডের সমস্যা ছিল। সময় মত টাকা না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে এ বছর কাজটি শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন ওই ঠিকাদার। তিনি মেসার্স রিফাত আরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন,কাজটি পাওয়ার পর থেকে তাদের গুরুত্ব কম ছিল। তারা কিছু কাজ করে বন্ধ রাখেন। এরপর আবারও কাজটি শুরু করেন। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৩-১০-২০২১ সালে।
তিনি বলেন, ওই ঠিকাদার কাজ না করে দীর্ঘদিন এভাবে ফেলে রেখেছেন। আমরা ইতোমধ্যে টেন্ডার বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বাতিল হয়ে আসলে,আমরা নতুন টেন্ডার আহবান করবো।