মোবাইলে প্রেম তার পরে বিয়ে! অতপর:মৃত্যু
- আপডেট সময় ০৮:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
- / ৯০২ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্টঃ মোবাইলে প্রেম তার পরে বিয়ে। এক বছরের মধ্যেই স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ গেল সুমাইয়ার(১৮)। মরদেহ ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। কর্তৃপক্ষ মর্গে সুমাইয়ার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত করে রেখে দেন হিমাগারে।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদম পুরের বনগাও গ্রামে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) মরদেহ গ্রহণ করেছেন জেলার রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মেদেনী মহল গ্রামের সুমাইয়ার স্বজনরা।
সুমাইয়ার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মেদেনী মহল গ্রামের সেলিম আহমদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের (১৮) পরিচয় হয়েছিল কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে এমানি মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়ার (২৫) সঙ্গে। সেই পরিচয় থেকেই তাদের মাঝে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। সবকিছু উপেক্ষা করে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুমাইয়া। বিয়েও করেছিলেন প্রেমিক ইমরান মিয়াকে। বিয়ের পরে স্বামীর ঘরেই উঠেছিল সে।
নিহত সুমাইয়ার স্বজনরা জানান,বিয়ের পর পরিবারিক ভাবে তার সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখেনি তারা। কিন্তু সুমাইয়ার কপালে সুখ টিকেনি বেশি দিন। বিয়ের এক বছর হওয়ার আগেই স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ গেল তার। মারা যাওয়ার পর হাসপাতালেও ঠাই হয়েছিল বেওয়ারিশ হিসেবে।
সুমাইয়ার মামা কারমান আলী জাগো নিউজকে বলেন, সুমাইয়া আক্তার পালিয়ে বিয়ে করেছিল ইমরান মিয়াকে। তাদের বিয়ের পর আর আমরা যোগাযোগ রাখিনি তার সাথে। রবিবার বিকালে সুমাইয়ার স্বামী ইমরান মিয়ার চাচা আমাদের বাড়ির মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, তোমাদের মেয়েকে দেখতে হলে উসমানি মেডিকেলে আসো সে অসুস্থ্য। কেন কিভাবে অসুস্থ্য জানতে চাইলে তিনি আমাদের হুমকি ধমকি দেন। তখন আমরা বনগাও গ্রামের আশপাশের লোকদের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারি সুমাইয়ার স্বামী তাকে বেশ নির্যাতন করেছে। খুব বেশি মারধর করেছে। এরপর ওই দিনই আমরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিলাম না। এক আত্মীয়র মাধমে খোজ নিয়ে জানতে পারি সুমাইয়ার লাশ ওসমানীর হিমাগারে বেওয়ারিশ হিসেবে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগমকে দেখতে দেয়। পরে লাশ গ্রহণের জন্য তারা সিলেট কতোওয়ালী থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। থানায় যোগাযোগ করলে তারা কমলগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করে দুই দিন পর লাশ আমরা গ্রহণ করেছি। সুমাইয়ার মামা করমান আলী তিনি বলেন, পালিয়ে বিয়ে করায় আমরা যোগাযোগ করিনি। কিন্তু যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল তার হাতেই নিহত হলো মেয়েটি। যখন মেয়েটির মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি আর ঘরে থাকা সম্ভব হয়নি। তাই হাসপাতালে ছুটে এলাম। মঙ্গলবার বিকেলে লাশ গ্রহণ করে ওসমানিতেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এখন কমলগঞ্জ থানাকে দেখিয়ে লাশ দাফন করবো।
এব্যপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, এব্যাপারে এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।