ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান, স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে অবস্থিত বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, এখন মানুষ বিএনপিকে বলাবলি করছে, আপনারা এই বিদ্যুৎ এর জন্য প্রতিবাদ করছেন না কেন? । সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপি আজ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। এই অবৈধ সরকার দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে আকাশে। উপরে স্যাটেলাইট আর এখন আমাদের হাতে আছে টর্চলাইট। ঘরে ঘরে মানুষের আজ বিদ্যুৎ নাই। ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। দুর্নীতি করা হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ এর বিল আগে দেই-প্রিপেইড এর মাধ্যমে কিন্তু সেই বিলের টাকা কোথায় গেল। টাকার অভাবে সরকার কয়লা কিনতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে আজকে দেশে ডলার নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। এর একমাত্র কারণ দেশ থেকে টাকা পাচার হওয়া। এটা আজ দেশবাসীর কাছে দিবালোকের মত সত্য হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা থেকেও পাচার হওয়া টাকা এখন দেশে আসছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আজকে দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। শুধু বাচ্চাদের লেখাপড়া নয়, বিদ্যুৎ এর অভাবে মানুষ এখন নিদ্রাহীন অবস্থায় আছে। সেকারণে অবিলম্বে এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে।

জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামের স ালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রশীদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু, জেলা মহিলাদলের নেত্রী শ্যামলী সূত্রধর, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম ঈমানী, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, যুগ্ম আহবায়ক আমীর মোহাম্মদ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহউর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইদ্রিছ আলী, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান সাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন,সহ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সহ সাংগঠনিক জুনেদ আলম,সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এডভোকেট জাবেদ নাঈম প্রমুখ। পরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার সার্কেলের নির্বাহীর প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান, স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে অবস্থিত বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, এখন মানুষ বিএনপিকে বলাবলি করছে, আপনারা এই বিদ্যুৎ এর জন্য প্রতিবাদ করছেন না কেন? । সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপি আজ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। এই অবৈধ সরকার দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে আকাশে। উপরে স্যাটেলাইট আর এখন আমাদের হাতে আছে টর্চলাইট। ঘরে ঘরে মানুষের আজ বিদ্যুৎ নাই। ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। দুর্নীতি করা হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ এর বিল আগে দেই-প্রিপেইড এর মাধ্যমে কিন্তু সেই বিলের টাকা কোথায় গেল। টাকার অভাবে সরকার কয়লা কিনতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে আজকে দেশে ডলার নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। এর একমাত্র কারণ দেশ থেকে টাকা পাচার হওয়া। এটা আজ দেশবাসীর কাছে দিবালোকের মত সত্য হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা থেকেও পাচার হওয়া টাকা এখন দেশে আসছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আজকে দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। শুধু বাচ্চাদের লেখাপড়া নয়, বিদ্যুৎ এর অভাবে মানুষ এখন নিদ্রাহীন অবস্থায় আছে। সেকারণে অবিলম্বে এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে।

জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামের স ালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রশীদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু, জেলা মহিলাদলের নেত্রী শ্যামলী সূত্রধর, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম ঈমানী, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, যুগ্ম আহবায়ক আমীর মোহাম্মদ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহউর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইদ্রিছ আলী, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান সাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন,সহ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সহ সাংগঠনিক জুনেদ আলম,সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এডভোকেট জাবেদ নাঈম প্রমুখ। পরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার সার্কেলের নির্বাহীর প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।