ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা‘র আলোচনা সভা ডিবি পুলিশের মৃ ত দে হ উদ্ধার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা:  দিলীপ কুমার সরকার বেগম রোকেয়া দিবসে অদম্য নারীকে সম্মাননা মৌলভীবাজারে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম এর উদ্যোগে পথসভা মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাগরদিঘী রোড প্রশস্ত ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন কোটচাঁদপুরের কিডনি রোগে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আগুনে পুড়ল সিএনজি চালকের সপ্ন, আমনধান ও নগদ অর্থসহ ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার

মৌলভীবাজারে এবার ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
  • / ৭০৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারে চামড়া ব্যবসায়ী এবং ক্বওমি মাদরাসা ও এতিখানাগুলোর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রধান মৌসুম ঈদুল আযহা। এক দশক আগেও একটি গরুর চামড়া আকারভেদে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেই একই চামড়া ৩০০ টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে, আয় কমেছে ব্যবসায়ী ও মাদরাসা-এতিমখানা কর্তৃপক্ষের।

পরপর কয়েক বছর কাঁচা চামড়ার বাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঈদের আগে কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং খাসি ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া এ দামে কিনবেন ট্যানারি মালিকরা। তবে ঈদের দিন বা তার পরের দিন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এলাকা ও চমড়াভেদে স্থানীয়ভাবে দাম নির্ধারণ করে চামড়া কেনেন। এবার মৌলভীবাজারে আকারভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাদরাসা-এতিমখানার কাছ থেকে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। এবার চামড়ার দাম গতবারের চেয়েও কম বলে জানিয়েছেন তারা।

বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরের পর থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাদরাসা-এতিমখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন। এসময় ছোট আকারের গরুর চামড়া ৫০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মাঝারি ও বড় আকারের গরুর চামড়া ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিকাংশ আড়তদার ছোট আকারের গরুর চামড়া এবং খাসি ও বকরির চামড়া কিনতে অনীহা দেখান। ছোট আকারের গরুর চামড়া কেউ বিক্রি করতে আনলে ৫০ টাকা দামও বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ‘ফ্রি’ পাওয়া গেছে।

কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জানান, বড় আকারের গরুর চামড়া ৩৫-৪০ বর্গফুট, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ২১-৩০ এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ১৬-২০ বর্গফুটের হয়। একেকটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও শ্রমিকের মজুরিসহ গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এবার সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়েছে। তাই এর প্রভাব কাচা চামড়ার দামে পড়েছে।

ছাগলের চামড়া কেনাবেচা হচ্ছেই না বলে জানালেন ওই ব্যবসায়ী। জানালেন- গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ‘ফ্রি’ মিলছে।

এদিকে, সোলেমান নামের এক ব্যবসায়ী স মৌলভীবাজার২৪কে জানান- ব্যক্তি পর্যায় থেকে ছোট গরুর চামড়া ৫০ টাকা করে কিনেছেন তিনি।আর মাঝারি ১০০ এবং বড় গরুর ২০০ টাকা দরে কিনেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে এবার ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া

আপডেট সময় ০৫:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারে চামড়া ব্যবসায়ী এবং ক্বওমি মাদরাসা ও এতিখানাগুলোর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রধান মৌসুম ঈদুল আযহা। এক দশক আগেও একটি গরুর চামড়া আকারভেদে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেই একই চামড়া ৩০০ টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে, আয় কমেছে ব্যবসায়ী ও মাদরাসা-এতিমখানা কর্তৃপক্ষের।

পরপর কয়েক বছর কাঁচা চামড়ার বাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঈদের আগে কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং খাসি ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া এ দামে কিনবেন ট্যানারি মালিকরা। তবে ঈদের দিন বা তার পরের দিন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এলাকা ও চমড়াভেদে স্থানীয়ভাবে দাম নির্ধারণ করে চামড়া কেনেন। এবার মৌলভীবাজারে আকারভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাদরাসা-এতিমখানার কাছ থেকে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। এবার চামড়ার দাম গতবারের চেয়েও কম বলে জানিয়েছেন তারা।

বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরের পর থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাদরাসা-এতিমখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন। এসময় ছোট আকারের গরুর চামড়া ৫০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মাঝারি ও বড় আকারের গরুর চামড়া ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিকাংশ আড়তদার ছোট আকারের গরুর চামড়া এবং খাসি ও বকরির চামড়া কিনতে অনীহা দেখান। ছোট আকারের গরুর চামড়া কেউ বিক্রি করতে আনলে ৫০ টাকা দামও বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ‘ফ্রি’ পাওয়া গেছে।

কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জানান, বড় আকারের গরুর চামড়া ৩৫-৪০ বর্গফুট, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ২১-৩০ এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ১৬-২০ বর্গফুটের হয়। একেকটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও শ্রমিকের মজুরিসহ গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এবার সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়েছে। তাই এর প্রভাব কাচা চামড়ার দামে পড়েছে।

ছাগলের চামড়া কেনাবেচা হচ্ছেই না বলে জানালেন ওই ব্যবসায়ী। জানালেন- গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ‘ফ্রি’ মিলছে।

এদিকে, সোলেমান নামের এক ব্যবসায়ী স মৌলভীবাজার২৪কে জানান- ব্যক্তি পর্যায় থেকে ছোট গরুর চামড়া ৫০ টাকা করে কিনেছেন তিনি।আর মাঝারি ১০০ এবং বড় গরুর ২০০ টাকা দরে কিনেছেন।