ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আঞ্জুম হ/ত্যা/কা/ন্ড ঘা/ত/ক জুনেলের ২ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মত মানুষ গু/লি করে হ/ত্যা করা হয়েছে মৌলভীবাজারে…অ্যাটর্নি জেনারেল ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা কুলাউড়া পৌরসভার কোটচাঁদপুর দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে পুড়লো কৃষকের কচুর ক্ষেত মৌলভীবাজার মাতৃমঙ্গলে সিজারিয়ান মেডিসিন প্রদান জুলাই আন্দোলনে আহতদের ভেরিফিকেশন সংক্রান্তে ফেসবুকে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপারের বিবৃতি কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন

মৌলভীবাজারে ঠিকাদার খু-নে জড়িত গ্রেফতার-২

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২০৮৫ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: বকেয়া পাওনা অন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সহিত জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যে এ তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার  শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে  আব্দুল মুমিন (২৩) ও  মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১) ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর  বিকাল ৩টার দিকে  ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে  জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃত দেহ পড়িয়া রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে মৃত দেহ উদ্ধার করে । তদন্তকালে জানা যায় যে, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, সাং-মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করিত। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসত ঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছে। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করে। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২.১০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মৃত সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে।  লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয় ।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম(১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবার সদর মডেল থানায় খুন মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) আবুল কালাম চৌধুরী এর উপর করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ  মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ঠিকাদার খু-নে জড়িত গ্রেফতার-২

আপডেট সময় ১০:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: বকেয়া পাওনা অন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সহিত জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যে এ তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার  শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে  আব্দুল মুমিন (২৩) ও  মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১) ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর  বিকাল ৩টার দিকে  ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে  জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃত দেহ পড়িয়া রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে মৃত দেহ উদ্ধার করে । তদন্তকালে জানা যায় যে, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, সাং-মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করিত। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসত ঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছে। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করে। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২.১০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মৃত সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে।  লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয় ।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম(১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবার সদর মডেল থানায় খুন মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) আবুল কালাম চৌধুরী এর উপর করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ  মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।