ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা কুলাউড়ায় সরকারি জমি উদ্ধার গ্রে ফ তা র হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির

মৌলভীবাজারে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ১২০৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারর২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজারে ছয় শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের সময় শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হল থেকে একসাথে ২১ কিলোমিটার এবং ১০ কিলোমিটার দূরত্বের হাফ ম্যারাথন শুরু হয়। হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সাকের্ল) মো: জিয়া উর রহমানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রা।

এই আয়োজনের নাম ‘বেঙ্গল কনভেনশন হল মৌলভীবাজার হাফ ম্যারাথন-২০২১’। মৌলভীবাজার রানার্স ক্লাব ও মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটি যৌথভাবে এই ম্যারাথনের আয়োজন করে। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন ছিল। কারণ এবারই এই ম্যারাথনকে উৎসর্গ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে। মৌলভীবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা এবং ভারত, নেপালের অনেক দৌড়বিদ এই ম্যারাথনে অংশ নেন।

তারা জানিয়েছেন, এবার দুই রকম দূরত্বে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এর একটি ১০ কিলোমিটার দূরত্বের। এই দূরত্বের অংশগ্রহণকারীরা শহরতলির কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা বাজারের দক্ষিণ প্রান্ত ছুঁয়ে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে ফিরেন। অপরটি ২১ কিলোমিটার দূরত্বের। এই দূরত্বের অংশগ্রহণকারীরা প্রেমনগর চা-বাগান থেকে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন।

প্রতিযোগিতায় ২১ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন যশোরের আসিফ বিশ্বাস ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হন মৌলভীবাজারের নাসরিন বেগম। ১০ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন কুলাউড়ার আশরাফুল আলম কাশেম, মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন সুনামগঞ্জের স্নেহা জান্নাত।

হাফ ম্যারাথনকে সুশৃঙ্খল, সুন্দর ও সফল করতে নিয়োজিত ছিলেন ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এক কিলোমিটার পর পর পানির বুথ, সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দৌড়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল ।

মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন ইমন আহমেদ বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অনেকের মধ্যে নানা রকম বিষণ্নতা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যে স্থবিরতা এসেছে। এই অবসাদ, স্থবিরতাকে ভেঙে আবার সবাইকে চাঙা করে তোলাই এই ম্যারাথনের উদ্দেশ্য। এই জেলার সৌন্দর্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরাও ম্যারাথনের অন্যতম একটা দিক। তবে এর সঙ্গে এবার যুক্ত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। সেই লক্ষ্যে এবার হাফ ম্যারাথনে মৌলভীবাজার জেলার ম্যাপের ভেতর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধের ছবিসংবলিত টি-শার্ট ও মেডেল তৈরি করা হয়েছে।

সাইক্লিং কমিউনিটির আরেক অ্যাডমিন সঞ্জীব মীতৈ বলেন, ‘এবার হাফ ম্যারাথনের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হল। করোনার পর কয়েকটি লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করেছি। সেগুলো হলো মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে তুলে ধরা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দৌড়ের উপকারিতা প্রচার এবং জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সবার সামনে উপস্থাপন করা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৫:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজারর২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজারে ছয় শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের সময় শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হল থেকে একসাথে ২১ কিলোমিটার এবং ১০ কিলোমিটার দূরত্বের হাফ ম্যারাথন শুরু হয়। হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সাকের্ল) মো: জিয়া উর রহমানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রা।

এই আয়োজনের নাম ‘বেঙ্গল কনভেনশন হল মৌলভীবাজার হাফ ম্যারাথন-২০২১’। মৌলভীবাজার রানার্স ক্লাব ও মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটি যৌথভাবে এই ম্যারাথনের আয়োজন করে। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন ছিল। কারণ এবারই এই ম্যারাথনকে উৎসর্গ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে। মৌলভীবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা এবং ভারত, নেপালের অনেক দৌড়বিদ এই ম্যারাথনে অংশ নেন।

তারা জানিয়েছেন, এবার দুই রকম দূরত্বে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এর একটি ১০ কিলোমিটার দূরত্বের। এই দূরত্বের অংশগ্রহণকারীরা শহরতলির কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা বাজারের দক্ষিণ প্রান্ত ছুঁয়ে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে ফিরেন। অপরটি ২১ কিলোমিটার দূরত্বের। এই দূরত্বের অংশগ্রহণকারীরা প্রেমনগর চা-বাগান থেকে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন।

প্রতিযোগিতায় ২১ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন যশোরের আসিফ বিশ্বাস ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হন মৌলভীবাজারের নাসরিন বেগম। ১০ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন কুলাউড়ার আশরাফুল আলম কাশেম, মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন সুনামগঞ্জের স্নেহা জান্নাত।

হাফ ম্যারাথনকে সুশৃঙ্খল, সুন্দর ও সফল করতে নিয়োজিত ছিলেন ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এক কিলোমিটার পর পর পানির বুথ, সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দৌড়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল ।

মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন ইমন আহমেদ বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অনেকের মধ্যে নানা রকম বিষণ্নতা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যে স্থবিরতা এসেছে। এই অবসাদ, স্থবিরতাকে ভেঙে আবার সবাইকে চাঙা করে তোলাই এই ম্যারাথনের উদ্দেশ্য। এই জেলার সৌন্দর্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরাও ম্যারাথনের অন্যতম একটা দিক। তবে এর সঙ্গে এবার যুক্ত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। সেই লক্ষ্যে এবার হাফ ম্যারাথনে মৌলভীবাজার জেলার ম্যাপের ভেতর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধের ছবিসংবলিত টি-শার্ট ও মেডেল তৈরি করা হয়েছে।

সাইক্লিং কমিউনিটির আরেক অ্যাডমিন সঞ্জীব মীতৈ বলেন, ‘এবার হাফ ম্যারাথনের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হল। করোনার পর কয়েকটি লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করেছি। সেগুলো হলো মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে তুলে ধরা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দৌড়ের উপকারিতা প্রচার এবং জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সবার সামনে উপস্থাপন করা।