ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মৌলভীবাজারে পিতার বিয়ে,লজ্জায় ছেলের আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • / ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: বড়লেখায় পিতার একাধিক বিয়ে ও নামা অপকর্মেরর কারণে লোকলজ্জায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো আবু বক্কর সিদ্দিকী নামের (১৫) বছরের বালক। এ বালকের পিতা মোঃ নাজিম উদ্দিন ২৪ জুন তার ছেলে অপমৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বড়লেখা থানায় অভিযোগ করেন। নিজেকে বাঁচাতে  এর ১০ দিন পর বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী, শালাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার অভিযোগ করেন। বিজ্ঞ মাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক নিহতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী নির্দেশনা দিবেন। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর পিতার মামলা নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে তোলপাড়।

মামলা ও সরেজমিন উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুয়ারারতল এলাকায় গেলে অনেকে জানান নিহত কিশোর আবু বক্কর সিদ্দিকী (১৫) খুবি একটা লাজুক  ছেলে ছিলো। তার পিতা তার মাকে বিয়ে করার আগে আরও ৩ টি বিয়ে করেন নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর মা তার পিতার ৪ নাম্বার স্ত্রী হন। তার পিতা মোঃ নাজিম উদ্দিন প্রায় ৬ মাস পূর্বে বড়লেখা উপজেলার জহুদনগর এলাকার বলাই মিয়ার  মেয়ে রহিমা বেগমকে বিবাহ করেন নাজিম পঞ্চম বিবাহের পর থেকে নববধূ নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে শারীরিক নির্যাতন চালান নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর মা শেফা বেগমের উপর, শেফা বাধ্য  হয়ে বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামী ও সতিনের উপর অভিযোগ এতে মামলা করেন যার নাম্বার  সি  আর ১৪৭/২২ মায়ের এ মামলার প্রধান সাক্ষী ও  ছিলো নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকী।

নিহত আবু বক্করের ভাই আবু হানিফ( ১৪)  বোন রাশেদা (১০) সাবেক ইউ পি সদস্য আব্দুর রহিম, কুতুব উদ্দিন, সাবেক ইউ পি সদস্য নুর উদ্দিন, ফজলু মিয়া, রাসেল মিয়া, রাহেল মিয়া, রানু মিয়া, রেজাউল সহ অনেকে জানান- মা শেফা বেগম মামলা করেন, নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকী পিতার আকুতি, মিনতিতে ছেলে সাড়া দিয়ে পিতার পক্ষে কোর্টে  গিয়ে সাফাই দেয়।

তবে লাজোক আবু বক্কর সিদ্দিকী লোকলজ্জায় পৃথিবীর  মায়া ত্যাগ করে বিষ প্রান করে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে প্রায় ২ দিন পর মারা যায় আবু বক্কর সিদ্দিকী।গত মাসের  ২২ জুন রাত আনুমানিক ১১টায় বিষ খেয়ে বাড়ির বাহিত থেকে এসে  মা ছোট ভাই বোনকে ঘরে এসে ডাকে অনেক বমি করে আবু বক্কর  পরে তার মা শেফা বেগম ও সহপাটিরা নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীকে টক জাতীয় তেতুল সহ অনেক কিছু খাওয়ান। তার পিতা মোঃ নাজিম উদ্দীন খবর পেয়ে আসেন গভীর রাত হওয়ায় নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পরের দিন তার পিতা মাতা আত্নীয় স্বজন বিয়ানীবাজার ক্লিনিকে নিয়ে যান সেখানে কয়েক ঘন্টা থাকে পরে কর্তব্যরতরা আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া কথা বলেন, নেওয়ার  পথে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে আবু বক্কর সিদ্দিকীর পিতা মোঃ নাজিম উদ্দীন বড়লেখা থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করেন। এলাকায়  যখন পিতার বিয়ে মাকে নির্যাতন  সহ নানা অপকর্মে ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকী বিষ খেয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এমনটি এলাকা জুড়ে  তোলপাড় চলছে। টিক তখন নিহতের ১০ দিন পর নিজে বাচতে আবু বক্কর সিদ্দিকী মা শেফা বেগম  মামা রুবেল আহমদ সহ সাবুল আহমেদকে আসামি করে কোর্টে একটি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে নির্যাতন ও যৌতুক  মামলার বাদী শেফা বেগম জানান, আমার সতিন ও স্বামীর নির্যাতনে আমি অতিষ্ট ছেলে মেয়ে মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছে না, তার পিতার কারনে আমার ছেলে মারা গেলো ছেলে মৃত্যুর সুখ কেটে উঠতে পারি নাই, আমার উপর মামলা দিয়ে এখন চাপ দিচ্ছে আমার করা নির্যাতন মামলা তুলে আনার জন্য  এখন আমি কি করবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারে পিতার বিয়ে,লজ্জায় ছেলের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: বড়লেখায় পিতার একাধিক বিয়ে ও নামা অপকর্মেরর কারণে লোকলজ্জায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো আবু বক্কর সিদ্দিকী নামের (১৫) বছরের বালক। এ বালকের পিতা মোঃ নাজিম উদ্দিন ২৪ জুন তার ছেলে অপমৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বড়লেখা থানায় অভিযোগ করেন। নিজেকে বাঁচাতে  এর ১০ দিন পর বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী, শালাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার অভিযোগ করেন। বিজ্ঞ মাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক নিহতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী নির্দেশনা দিবেন। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর পিতার মামলা নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে তোলপাড়।

মামলা ও সরেজমিন উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুয়ারারতল এলাকায় গেলে অনেকে জানান নিহত কিশোর আবু বক্কর সিদ্দিকী (১৫) খুবি একটা লাজুক  ছেলে ছিলো। তার পিতা তার মাকে বিয়ে করার আগে আরও ৩ টি বিয়ে করেন নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর মা তার পিতার ৪ নাম্বার স্ত্রী হন। তার পিতা মোঃ নাজিম উদ্দিন প্রায় ৬ মাস পূর্বে বড়লেখা উপজেলার জহুদনগর এলাকার বলাই মিয়ার  মেয়ে রহিমা বেগমকে বিবাহ করেন নাজিম পঞ্চম বিবাহের পর থেকে নববধূ নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে শারীরিক নির্যাতন চালান নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীর মা শেফা বেগমের উপর, শেফা বাধ্য  হয়ে বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামী ও সতিনের উপর অভিযোগ এতে মামলা করেন যার নাম্বার  সি  আর ১৪৭/২২ মায়ের এ মামলার প্রধান সাক্ষী ও  ছিলো নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকী।

নিহত আবু বক্করের ভাই আবু হানিফ( ১৪)  বোন রাশেদা (১০) সাবেক ইউ পি সদস্য আব্দুর রহিম, কুতুব উদ্দিন, সাবেক ইউ পি সদস্য নুর উদ্দিন, ফজলু মিয়া, রাসেল মিয়া, রাহেল মিয়া, রানু মিয়া, রেজাউল সহ অনেকে জানান- মা শেফা বেগম মামলা করেন, নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকী পিতার আকুতি, মিনতিতে ছেলে সাড়া দিয়ে পিতার পক্ষে কোর্টে  গিয়ে সাফাই দেয়।

তবে লাজোক আবু বক্কর সিদ্দিকী লোকলজ্জায় পৃথিবীর  মায়া ত্যাগ করে বিষ প্রান করে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে প্রায় ২ দিন পর মারা যায় আবু বক্কর সিদ্দিকী।গত মাসের  ২২ জুন রাত আনুমানিক ১১টায় বিষ খেয়ে বাড়ির বাহিত থেকে এসে  মা ছোট ভাই বোনকে ঘরে এসে ডাকে অনেক বমি করে আবু বক্কর  পরে তার মা শেফা বেগম ও সহপাটিরা নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীকে টক জাতীয় তেতুল সহ অনেক কিছু খাওয়ান। তার পিতা মোঃ নাজিম উদ্দীন খবর পেয়ে আসেন গভীর রাত হওয়ায় নিহত আবু বক্কর সিদ্দিকীকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পরের দিন তার পিতা মাতা আত্নীয় স্বজন বিয়ানীবাজার ক্লিনিকে নিয়ে যান সেখানে কয়েক ঘন্টা থাকে পরে কর্তব্যরতরা আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া কথা বলেন, নেওয়ার  পথে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে আবু বক্কর সিদ্দিকীর পিতা মোঃ নাজিম উদ্দীন বড়লেখা থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করেন। এলাকায়  যখন পিতার বিয়ে মাকে নির্যাতন  সহ নানা অপকর্মে ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকী বিষ খেয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এমনটি এলাকা জুড়ে  তোলপাড় চলছে। টিক তখন নিহতের ১০ দিন পর নিজে বাচতে আবু বক্কর সিদ্দিকী মা শেফা বেগম  মামা রুবেল আহমদ সহ সাবুল আহমেদকে আসামি করে কোর্টে একটি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে নির্যাতন ও যৌতুক  মামলার বাদী শেফা বেগম জানান, আমার সতিন ও স্বামীর নির্যাতনে আমি অতিষ্ট ছেলে মেয়ে মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছে না, তার পিতার কারনে আমার ছেলে মারা গেলো ছেলে মৃত্যুর সুখ কেটে উঠতে পারি নাই, আমার উপর মামলা দিয়ে এখন চাপ দিচ্ছে আমার করা নির্যাতন মামলা তুলে আনার জন্য  এখন আমি কি করবো।