ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসা কমিটি গঠনে জালিয়াতি, শিক্ষক গ্রে/প্তা/র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার। বাদে ভূকশিমইল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ এডিট করে ১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। ওই পত্রে পূর্বে মনোনীত দুই সদস্যের নাম অপরিবর্তিত রেখে নির্বাহী কমিটি গঠনের চেষ্টা চালানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পত্র জালিয়াতির প্রমাণ মিললে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাছুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাওলানা মো: মাছুম আহমদ একই সাথে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা ও বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বেতন নিচ্ছেন। চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা’র ইনডেক্স নম্বর এম০০৫২৫২৯। বাদে ভুকশিমইল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর ২৩০১৮৪৪। একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে হতবাক শিক্ষক সমাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে শিক্ষক মাছুম আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসা কমিটি গঠনে জালিয়াতি, শিক্ষক গ্রে/প্তা/র

আপডেট সময় ০৬:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার। বাদে ভূকশিমইল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ এডিট করে ১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। ওই পত্রে পূর্বে মনোনীত দুই সদস্যের নাম অপরিবর্তিত রেখে নির্বাহী কমিটি গঠনের চেষ্টা চালানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পত্র জালিয়াতির প্রমাণ মিললে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাছুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাওলানা মো: মাছুম আহমদ একই সাথে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা ও বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বেতন নিচ্ছেন। চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা’র ইনডেক্স নম্বর এম০০৫২৫২৯। বাদে ভুকশিমইল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর ২৩০১৮৪৪। একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে হতবাক শিক্ষক সমাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে শিক্ষক মাছুম আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।