মৌলভীবাজারে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান
- আপডেট সময় ০৫:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
- / ৬১৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মনু প্রকল্পের আওতাধীন কাউয়াদীঘি হাওরে পানি বৃদ্ধিতে এবার ফুঁসে উঠেছে মৌলভীবাজার হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি। সম্প্রতি জেলা শহরে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেবার পর কোন প্রতিকার না পেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুরে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনুর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমেদ এর সঞ্চালনায় মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় বক্তব্য দেন হাওর অঞ্চলের ভুক্তভোগী কৃষকগণ, হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দ।মানববন্ধনে বক্তৃতারা কাউয়াদীঘি হাওরের এই দুর্ভোগ নিরসনে প্রশাসনকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার দাবি জানান। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও সারের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি তুলেন তারা। বক্তারা বলেন, কাউয়াদিঘী হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও মৌলভীবাজার-রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কে নবনির্মিত নীচু মানের ভুরভুরি সেতু অপসারণ করে আবার উচু কাঠামোয় নির্মাণের দাবী জানান তারা।

উল্যেখ্য, মনূ সেচ প্রকল্পের অধীনে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিস্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষে ১৯৭৫-৭৬ সালে এই পাম্পটি নির্মাণ করা হয়। পাম্পের ৮টি মেশিনের প্রায় ৬টি অচল হওয়াতে সরকার ২০১৬ সালে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্পটির নতুন করে কাজ শুরু করে। এসময় ৩৫ কোটি টাকার লোঠপাট করা হয়। ওই সময়ে দূদকের দেয়া মামলায় মৌলভীবাজার ও ঢাকা’র সংশ্লিষ্ট ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।এদিকে সরেজমিনে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় পাম্প হাউজে গেলে দেখা যায়, মাত্র দুটি মেশিন চালু করে বিশাল এই হাওর থেকে যতসামান্য পানি নিস্কাশন করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সময়ের সাথে পাম্পটিতে চাহিদা মত বিদ্যুত সরবাহ না করায় পাম্পটি থেকে শতভাগ পানি দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
এদিকে স্থানীয় কৃষকেরা জানান, রোপা আমন চাষাবাদ করতে তারা জমি পুরোপুরিভাবে আবাদ করলেও হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিংহভাগ চারা রোপণ সম্ভব হচ্ছেনা।
এসময় তারা বলেন, কাউয়াদীঘি হাওর থেকে প্রচুর পরিমান মাছ চাষাবাদ করতে কিছু রাগব-বোয়ালের কারণে পানি সেচ করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন বলেন, হাওরে পানি বৃদ্ধির কারণে রোপা আমন চাষাবাদে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, দেড় হাজার হেক্টর চাষাবাদকৃত জমির কি পারিমান চাষ হয়নি। তা রোপা আমন চাষের পর জানা যাবে।










