ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের আলোচনা কে হচ্ছেন মন্ত্রী?

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮২৫ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের। অবশ্য পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে শুরু হয়ে গেছে নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য নিয়ে আলোচনা। কে হচ্ছেন মন্ত্রী এ নিয়ে পুরো জেলায় এখন আলোচনায় সরগরম।

মঙ্গলবার নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর জানানো হয় বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী পরিষদের শপথ। যেহেতু গত কয়েক বছর যাবত এই জেলায় ধারাবাহিক মন্ত্রী পাচ্ছে তাই নবীন ও প্রবীণ নেতাদের নিয়ে শুরু হয়েছে কৌতূহল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মৌলভীবাজারে প্রথম জিয়াউর রহমান সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা হন প্রয়াত এম সাইফুর রহমান। ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি হন অর্থমন্ত্রী। পরে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর কয়েক বছর মৌলভীবাজারের কেউ আর মন্ত্রী হতে পারেননি। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে এম সাইফুর রহমান আবারও অর্থমন্ত্রী হন।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় সরকার দলীয় হুইপ মনোনীত হন মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) থেকে নির্বাচিত এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারে গঠন করলে মন্ত্রী হন দুই জন। এম সাইফুর রহমান অর্থ ও পরিকল্পনা এবং অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তখন পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত হন মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। ২০১৪ সালের মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণ মন্ত্রী হন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী। তাকে দেওয়া হয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। পাশাপাশি মৌলভীবাজার-১ (জুড়ী-বড়লেখা) আসনের এমপি মো. শাহাবুদ্দিন সরকার দলীয় হুইপ মনোনীত হন।

২০১৮ সালে ফের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে পূর্ণ মন্ত্রী হন তিনি। তাকে দেওয়া হয় বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও মো. শাহাবুদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি বিসিবির পরিচালক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নতুনভাবে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই আসনে সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য এম এম শাহীন এবং জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমেদ সালমানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন।

কুলাউড়া উপজেলার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা লোকেশ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা ৫২ বছর ধরে বঞ্চিত এমনকি গত ২৫ বছর ধরে নৌকার এমপি পাইনি। এই বছর যেহেতু আমাদের এমপি একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা অতএব প্রধানমন্ত্রী ওনাকে মন্ত্রী করবেন এই আশা আমাদের আছে।

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া উপজেলা দীর্ঘদিন যাবত টেকসই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। উন্নয়নের সমতার জন্য কুলাউড়া উপজেলার কাউকে মন্ত্রী করা প্রয়োজন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারের আলোচনা কে হচ্ছেন মন্ত্রী?

আপডেট সময় ১১:৪৮:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের। অবশ্য পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে শুরু হয়ে গেছে নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য নিয়ে আলোচনা। কে হচ্ছেন মন্ত্রী এ নিয়ে পুরো জেলায় এখন আলোচনায় সরগরম।

মঙ্গলবার নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর জানানো হয় বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী পরিষদের শপথ। যেহেতু গত কয়েক বছর যাবত এই জেলায় ধারাবাহিক মন্ত্রী পাচ্ছে তাই নবীন ও প্রবীণ নেতাদের নিয়ে শুরু হয়েছে কৌতূহল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মৌলভীবাজারে প্রথম জিয়াউর রহমান সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা হন প্রয়াত এম সাইফুর রহমান। ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি হন অর্থমন্ত্রী। পরে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর কয়েক বছর মৌলভীবাজারের কেউ আর মন্ত্রী হতে পারেননি। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে এম সাইফুর রহমান আবারও অর্থমন্ত্রী হন।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় সরকার দলীয় হুইপ মনোনীত হন মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) থেকে নির্বাচিত এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারে গঠন করলে মন্ত্রী হন দুই জন। এম সাইফুর রহমান অর্থ ও পরিকল্পনা এবং অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তখন পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত হন মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। ২০১৪ সালের মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণ মন্ত্রী হন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী। তাকে দেওয়া হয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। পাশাপাশি মৌলভীবাজার-১ (জুড়ী-বড়লেখা) আসনের এমপি মো. শাহাবুদ্দিন সরকার দলীয় হুইপ মনোনীত হন।

২০১৮ সালে ফের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে পূর্ণ মন্ত্রী হন তিনি। তাকে দেওয়া হয় বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও মো. শাহাবুদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি বিসিবির পরিচালক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নতুনভাবে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই আসনে সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য এম এম শাহীন এবং জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমেদ সালমানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন।

কুলাউড়া উপজেলার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা লোকেশ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা ৫২ বছর ধরে বঞ্চিত এমনকি গত ২৫ বছর ধরে নৌকার এমপি পাইনি। এই বছর যেহেতু আমাদের এমপি একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা অতএব প্রধানমন্ত্রী ওনাকে মন্ত্রী করবেন এই আশা আমাদের আছে।

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া উপজেলা দীর্ঘদিন যাবত টেকসই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। উন্নয়নের সমতার জন্য কুলাউড়া উপজেলার কাউকে মন্ত্রী করা প্রয়োজন।