ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২ 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে বাংলাদেশীদের জয়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮১০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থীরা ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছেন।গত ৭ নভেম্বর ২০২৩,মংগলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা বিভিন্ন পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থীরা মোট ৪৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন জয়ী হয়েছেন। এটি বাংলাদেশি আমেরিকানদের জন্য একটি বিরাট অর্জন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি-আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন, ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।

নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া।

এ ছাড়া হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি-আমেরিকান পুনরায় জয় পেয়েছেন। তারা হলেন- কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনি ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুস মিয়া। একই সঙ্গে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটিতে মোহাম্মদ কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে সিটি কাউন্সিলর পদে এই প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন মুহতাসিন রহমান সাদমান। বর্তমানে হ্যামট্রমিক সিটিতে নির্বাচিত আরো ২ জন বাংলাদেশি কাউন্সিলর রয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর মুসলিম যেটি বিরল ঘটনা।

বিজয়ীরা সবাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা হলো ৪ জন। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে চার দফায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।

অপর সিনেটররা হলেন- শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন।

এছাড়াও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ড. নীনা আহমেদ এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন কিন্তু পরাজিত হন তবে এবার তিনি সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।

ড. নীনা এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলওম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেটে বাংলাদেশিদের এই বিজয়ের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি আনন্দ উৎযাপন করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে বাংলাদেশীদের জয়

আপডেট সময় ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থীরা ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছেন।গত ৭ নভেম্বর ২০২৩,মংগলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা বিভিন্ন পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থীরা মোট ৪৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন জয়ী হয়েছেন। এটি বাংলাদেশি আমেরিকানদের জন্য একটি বিরাট অর্জন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি-আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন, ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।

নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া।

এ ছাড়া হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি-আমেরিকান পুনরায় জয় পেয়েছেন। তারা হলেন- কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনি ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুস মিয়া। একই সঙ্গে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটিতে মোহাম্মদ কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে সিটি কাউন্সিলর পদে এই প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন মুহতাসিন রহমান সাদমান। বর্তমানে হ্যামট্রমিক সিটিতে নির্বাচিত আরো ২ জন বাংলাদেশি কাউন্সিলর রয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর মুসলিম যেটি বিরল ঘটনা।

বিজয়ীরা সবাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা হলো ৪ জন। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে চার দফায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।

অপর সিনেটররা হলেন- শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন।

এছাড়াও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ড. নীনা আহমেদ এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন কিন্তু পরাজিত হন তবে এবার তিনি সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।

ড. নীনা এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলওম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেটে বাংলাদেশিদের এই বিজয়ের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি আনন্দ উৎযাপন করছে।