ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে আসেন মেহেদী হাসান রনি মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা কার্গো বিমানে ভারতে পালিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন-মৌলভীবাজারে সাবেক মন্ত্রী টুকু বিশ্ব কবিমঞ্চ উদ্যোগে কবি সালেহ মওসুফ এর স্মরণ সভা বিশিষ্ট সাংবাদিক আলহাজ্ব এ. এস. মোহাম্মদ সিংকাপনীর ইন্তেকাল টিজেসি সভাপতি মোস্তাফিজ সম্পাদক ঢালী সাতপীরের মাজার নিয়ে উ ত্তে জ না হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ১৮ জানুয়ারী রঘুনন্দনপুর এলাকায় ইসলামি মহা- সম্মেলন কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণে তদন্ত শুরু করেছেন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।চূড়ান্ত বিজয়ের মাহেদ্রক্ষণে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে, যা থেকে হত্যার পূর্বে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল— সে তথ্যও বের হয়ে আসে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।চূড়ান্ত বিজয়ের মাহেদ্রক্ষণে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে, যা থেকে হত্যার পূর্বে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল— সে তথ্যও বের হয়ে আসে।