রোববার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন আলমগীর সেলিম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,তিনি সৎভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রি ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা থাকলেও কোন মাদকের মামলা ছিল না। গত ২২ জুলাই পুলিশ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ইয়াবা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরদিন তিনি জামিনে বের হয়ে দেখতে পান তার বিরুদ্ধে ইয়াবা মামলা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে তিনি তার দলের তার প্রতিপক্ষ বিএনপির লোকদের দায়ী করেন।
তিনি আরো বলেন, তিমির বনিক নামে এক সাংবাদিক বিভিন্ন অন লাইন পোর্টালের নিউজে তার একক ছবি ব্যবহার না করে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে তোলা গ্রুপ ছবি উদ্দেশ্য মূলকভাবে ব্যবহার করেছে। অথচ ওই ছবিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে ক্রপ করে দেয়া হয়েছে। এতেই বুঝা যায়, বিএনপির নেতারা তার আটকের পেছনে রয়েছেন বলে তিনি জানান। তারা তিমির বনিককে ব্যবহার করে এ কাজ করেছে বলে জানান। তিনি তিমির বনিকের অপসাংবাদিতকার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, গত ২০ জুলাই খুচরা মাদক কারবারি মিঠুন শীলকে মাদক সহ আটক করা হয়। পরে মিঠুন শীল স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে দীর্ঘদিন থেকে আলমগীর সেলিমের নিকট থেকে ইয়াবা টেবলেট ক্রয় করে আনে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয় বলে জানান।
তিনি আরও জানান, আটকের পর আলমগীর সেলিমও পুলিশের নিকট স্বীকার করেন তিনি এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাব্বির আলী মুন্না, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব টিটু আহমেদ।