শ্রীমঙ্গলে হস্ত কুটিরশিল্প শিল্প মেলা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ
![](https://newssitedesign.com/newspaperpro/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় ০৯:০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
- / ৩৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2023/11/Rahat-rakib-tea.jpg)
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের পৌরসভা সংলগ্ন রেলওয়ে মাঠে চালু হয়েছে হস্ত ও কুঠির শিল্প মেলা। কিন্ত মেলা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। মেলা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশংকা করে বলছেন এই মেলা শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সেই সাথে অসময়ে মেলার কারনে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপুজায় তাদের কেনা বেচায় প্রভাব ফেলতে পারে।
জানা গেছে, ‘হস্ত কুটির শিল্প’ মেলা নামে শহরের ভানুগাছ সড়কের পাশে রেলওয়ে মাঠে মাসব্যাপী এই মেলা শুরু হলেও রবিবার মেলা ঘুরে ‘হস্ত ও কুঠির শিল্পের উল্লেখযোগ্য কোন পণ্য এখানে দেখা মেলেনি। মেলায় ঘুরতে আসা অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন মেলায় যেসব পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে তার মান খুবই নিম্ন মানের আবার দাম নেয়া হচ্ছে বেশী। এদিকে আসন্ন দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই অসময়ের বানিজ্য মেলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ব্যবসয়ীরা বলেছেন, করোনার পর থেকে এমনিতেই আমাদের ব্যবসা বানিজ্য মন্দা যাচ্ছে। প্রতি বছরে ২টি ঈদ ও দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে তারা লাভের আশায় থাকেন। এছাড়া সাধারণত শীতকালে বা বছরের ডিসেম্বর -মার্চ এর মাঝে বিভিন্ন মেলা বসে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সেপ্টেম্বরের শেষে এই মেলার আয়োজনে তারা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধ শতাধিক স্টল অংশ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে স্টলগুলো তাদের পণ্যের পশরা সাজিয়ে কেনা বেচা শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে, মেলার শুরুতেই কসমেটিক্সসহ নানা ধরণের পণ্যে অতিরিক্ত মূল্য সহ নিম্মমানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা।
রেজিয়া সুলতানা নামে মেলায় আসা এক তরুণী জানান, মেলার পণ্যগুলো খুবই নিম্নমানের।
একই কথা জানান রুনা জান্নাত নামে অপর এক দর্শনার্থীর। তিনি বলেন, মেলা থেকে আমরা ইচ্ছে করে কসমেটিকসহ নানা পণ্য কিনে থাকি। কিন্তু তার গুণমত মান ভাল থাকে না।
শ্রীমঙ্গল শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন খান বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। মেলার কারনে আমাদের দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছে। দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেক টাকা বিনিয়োগ করে মালামাল তুলেছেন। করোনার পরে অনেকে বিভিন্ন ব্যংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ে যোগান দিয়েছেন।
মেলায় আগত বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, হস্ত কুটির শিল্প মেলা বলা হলেও হস্ত ও কুঠির শিল্পের উল্লেখ করার মতো কোন কিছুই এখানে নেই। নেই বৈচিত্র, এ বিষয়ে মেলার আয়োজক কমিটির পরিচালক লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অয়োজকদের এক কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, কুঠির শিল্প মেলার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসার কোন ক্ষতির কারণ দেখছি না, পুজা আসতে আরো দেরি আছে। তাছাড়া আমরা তো পুজার উপকরণও কেনাবেচা করছি না।
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2022/12/Untitled-6-×-4-in.gif)