ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলের লেখক কয়েস সামী’র সাফল্য 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কাওছার ইকবাল::  গেল অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ বইমেলায় অনুজ প্রকাশন এর বেস্টসেলার টপ ৩টি বইয়ের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে তরুণ লেখক কয়েস সামীর ‘প্রবেশ নিষেধ’, ২য় স্থানে মুহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের ‘রাত্রিহরণ’ এবং ৩য় স্থানে আহমেদ শিমুর ‘অচেনা পথে চেনা মানুষ’। এই বইগুলো পুরো বাংলাদেশে অনেক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত বইমেলায় রকমারির ফিকশন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ বিক্রিত বই হিসেবে স্থান পেয়েছিল ‘প্রবেশ নিষেধ’।

 

রাতারাতি জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক কয়েস সামী পেশায় একজন ব্যাংকার। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির নেশায় আসক্ত। ছড়া, কবিতা, গল্পসহ অনেক লেখা স্থান পেয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় অনেক মাধ্যমে। লেগে থাকা এবং নেশা দু’টির কারণেই সাফল্যের হাতছানি। এসবের অনুপ্রেরণা পড়ায় আসক্তি, পরিবেশ, সহপাঠী এবং ‘অনন্য শ্রীমঙ্গল’। এই শ্রীমঙ্গলেরই কৃতি সন্তান কয়েস সামী। পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ছিলেন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুরাগী এবং শ্রীমঙ্গলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেরা বিক্রিত বইয়ের লেখক কয়েস সামী বলেন, একটা প্রকাশনীর লেখকদের মধ্যে বেস্ট সেলার হওয়ার মতো ঘটনা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার সকল পাঠকদের প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। অনুজের অন্য দুই লেখকের জন্য শুভকামনা।

 

আমার লেখা তিনটি থ্রিলার- টিউশনি, হেল্পিং হ্যান্ড আর প্রবেশ নিষেধ! এর প্রথমটি মৌলিক, আর বাকিগুলো বিদেশি উপন্যাস অবলম্বনে।

 

প্রবেশ নিষেধের কিছু কথা- প্রেম-অপ্রেম, ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতার অদ্ভুত দোলাচল মেশানো এক টানটান উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার ‘প্রবেশ নিষেধ’।

 

অকল্পনীয় একটা অপরাধ করে ফেলেছে সানজানা। স্বামী সায়হামকে খুন করে ফেলেছে সে! সে এখন কী করবে? ক্রাইম সিনে থেকে গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করবে? নাকি পালিয়ে যাবে?

 

অনেক চিন্তা ভাবনা করে সে পালাবার সিদ্ধান্ত নিলো। তার এতদিনের সাজানো সংসার, চাকরি, বড়ো বোন ফারজানা- সবকিছু পেছনে ফেলে সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল অজানার উদ্দেশ্যে। পুলিশ ক্রাইম সিনে পৌঁছাবার আগেই সে চলে যেতে চায় বহুদূর।

 

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাকে গভীর রাতে আশ্রয় নিতে হলো ঢাকা থেকে অদূরে অবস্থিত প্রায় পরিত্যক্ত একটা রিসোর্টে। তিন্নি’স রিসোর্টে আশ্রয় নেয়ার পর সে জানতে পারলো, দু’বছর আগে এখানেই খুন হয়েছিল নার্গিস নামের একটা মেয়ে। অন্যদিকে, পাশের দোতলা থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক নারী ছায়ামূর্তি।

 

একদিকে পুলিশের ভয়, অন্যদিকে তিন্নি’স রিসোর্টের ভয়ংকর ইতিহাস আর সেই ছায়ামূর্তি! কী করবে সানজানা? এমনই জমানো একটি থ্রিলার প্রবেশ নিষেধ। পুরোটা পাঠ করে তৃপ্তি পাবেন পাঠকরা, এই আশাবাদ লেখকের।

 

লেখকের আরেকটি বই “টিউশনি” প্রকাশিত  হয়েছে অডিও বুক হিসেবে। সময়ের অভাবে যাদের বই পড়া হয়ে উঠে না তারা চাইলে কাব্যিক অ্যাপ এ অডিওবুক হিসেবে শুনে ফেলতে পারেন গল্পটি। ধীরে ধীরে অডিও বুক জনপ্রিয় হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, টিউশনিতে শ্রীমঙ্গলের পাঠকদের জন্য রয়েছে আলাদা একটা ব্যাপার। আছে ভিক্টোরিয়া খেলার মাঠ। আছে মিশন রোড, কলেজ রোডসহ আরো অনেক পরিচিত জায়গা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলের লেখক কয়েস সামী’র সাফল্য 

আপডেট সময় ০৪:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

মোঃ কাওছার ইকবাল::  গেল অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ বইমেলায় অনুজ প্রকাশন এর বেস্টসেলার টপ ৩টি বইয়ের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে তরুণ লেখক কয়েস সামীর ‘প্রবেশ নিষেধ’, ২য় স্থানে মুহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের ‘রাত্রিহরণ’ এবং ৩য় স্থানে আহমেদ শিমুর ‘অচেনা পথে চেনা মানুষ’। এই বইগুলো পুরো বাংলাদেশে অনেক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত বইমেলায় রকমারির ফিকশন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ বিক্রিত বই হিসেবে স্থান পেয়েছিল ‘প্রবেশ নিষেধ’।

 

রাতারাতি জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক কয়েস সামী পেশায় একজন ব্যাংকার। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির নেশায় আসক্ত। ছড়া, কবিতা, গল্পসহ অনেক লেখা স্থান পেয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় অনেক মাধ্যমে। লেগে থাকা এবং নেশা দু’টির কারণেই সাফল্যের হাতছানি। এসবের অনুপ্রেরণা পড়ায় আসক্তি, পরিবেশ, সহপাঠী এবং ‘অনন্য শ্রীমঙ্গল’। এই শ্রীমঙ্গলেরই কৃতি সন্তান কয়েস সামী। পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ছিলেন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুরাগী এবং শ্রীমঙ্গলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেরা বিক্রিত বইয়ের লেখক কয়েস সামী বলেন, একটা প্রকাশনীর লেখকদের মধ্যে বেস্ট সেলার হওয়ার মতো ঘটনা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার সকল পাঠকদের প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। অনুজের অন্য দুই লেখকের জন্য শুভকামনা।

 

আমার লেখা তিনটি থ্রিলার- টিউশনি, হেল্পিং হ্যান্ড আর প্রবেশ নিষেধ! এর প্রথমটি মৌলিক, আর বাকিগুলো বিদেশি উপন্যাস অবলম্বনে।

 

প্রবেশ নিষেধের কিছু কথা- প্রেম-অপ্রেম, ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতার অদ্ভুত দোলাচল মেশানো এক টানটান উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার ‘প্রবেশ নিষেধ’।

 

অকল্পনীয় একটা অপরাধ করে ফেলেছে সানজানা। স্বামী সায়হামকে খুন করে ফেলেছে সে! সে এখন কী করবে? ক্রাইম সিনে থেকে গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করবে? নাকি পালিয়ে যাবে?

 

অনেক চিন্তা ভাবনা করে সে পালাবার সিদ্ধান্ত নিলো। তার এতদিনের সাজানো সংসার, চাকরি, বড়ো বোন ফারজানা- সবকিছু পেছনে ফেলে সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল অজানার উদ্দেশ্যে। পুলিশ ক্রাইম সিনে পৌঁছাবার আগেই সে চলে যেতে চায় বহুদূর।

 

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাকে গভীর রাতে আশ্রয় নিতে হলো ঢাকা থেকে অদূরে অবস্থিত প্রায় পরিত্যক্ত একটা রিসোর্টে। তিন্নি’স রিসোর্টে আশ্রয় নেয়ার পর সে জানতে পারলো, দু’বছর আগে এখানেই খুন হয়েছিল নার্গিস নামের একটা মেয়ে। অন্যদিকে, পাশের দোতলা থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক নারী ছায়ামূর্তি।

 

একদিকে পুলিশের ভয়, অন্যদিকে তিন্নি’স রিসোর্টের ভয়ংকর ইতিহাস আর সেই ছায়ামূর্তি! কী করবে সানজানা? এমনই জমানো একটি থ্রিলার প্রবেশ নিষেধ। পুরোটা পাঠ করে তৃপ্তি পাবেন পাঠকরা, এই আশাবাদ লেখকের।

 

লেখকের আরেকটি বই “টিউশনি” প্রকাশিত  হয়েছে অডিও বুক হিসেবে। সময়ের অভাবে যাদের বই পড়া হয়ে উঠে না তারা চাইলে কাব্যিক অ্যাপ এ অডিওবুক হিসেবে শুনে ফেলতে পারেন গল্পটি। ধীরে ধীরে অডিও বুক জনপ্রিয় হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, টিউশনিতে শ্রীমঙ্গলের পাঠকদের জন্য রয়েছে আলাদা একটা ব্যাপার। আছে ভিক্টোরিয়া খেলার মাঠ। আছে মিশন রোড, কলেজ রোডসহ আরো অনেক পরিচিত জায়গা।