ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ নিজ মাকে প্রলোভন দিয়ে ও চিকিৎসার কথা বলে ৭৮ শতক ভূমি আত্মসাৎ করেন আব্দুল মকিছ। এমন অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পূর্ব মাতারকাপন এলাকার তার সহোদর ২ ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুস শহিদ।

১৭ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সহোদর ২ ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুস শহিদ এর স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন আব্দুল মতিনের স্ত্রী ফুল বিবি। লিখিত বক্তব্যে জানান, ৭৮ শতকের মধ্যে আমাদের সবার বাড়ি রয়েছে। গত আওয়ামী আমলে কয়েক বার বিচারহয়। এক পর্যায়ে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে বিচার বসে, সে ক্ষমতার দাপটে রায় মানে নাই। সে সাবেক এমপি জিল্লুর এবং নেছার আহমদের ঘনিষ্ট মানুষ। সব গুলি দলীয় প্রোগ্রাম এবং বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে চৌমুহনায় অপরাপর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে অবস্থান নেয়। সে তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আলীর একনিষ্ট সাথী এবং তাতীলীগের কমিটির পদধারী ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ নেতা নেছার আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান সহ নেতাদের সাথে এবং আওয়ামী প্রোগ্রামে তার ছবি রয়েছে। পট পরিবর্তনের পর আমরা তার বিরুদ্ধে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে অভিযোগ করি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে কয়েক বার তলব করার পরও সে ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হয় নাই। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মকিছের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য লিখিত সুপারিশ করেন।

আমি থানায় অভিযোগ দিলে আজ থেকে মাস দুইয়েক আগে এস আই সাইদুল এবং রানা মকিছকে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিতে চায়। তখন মকিছ বাজার ব্যবসায়ী ইসলাম এবং রুয়েল এর জিম্মায় শালিশ মানবে বলে জিম্মা নামায় স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে বিচার শালিশ বসে সেই শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশ, পঞ্চায়তের মুরব্বি খলিল মিয়া, শ্যামের কোনার বিশিষ্ট সালিশ আনোয়ার আলী, সাদিকুর রহমান সাদিক সহ শতেক লোক উপস্থিত ছিলেন।

মকিছ শালিসের এক পর্যায়ে সে সিন্ধান্ত মেনে না নিলে শালিস অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা শুনেছি এবং পত্রিকা মারফৎ অবগত হয়েছি শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশের নামে মিথ্যা মামলা নাকি দেওয়া হয়েছে এবং উনি আমাদেরকে হুকুম দিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করেন, আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা প্রতিদিন দেখি মকিছ তার বাড়িতে আছে, সে কোনদিনই বাড়ির ছাড়া ঘর ছাড়া ছিল না। বাড়িতে থেকে আমার সাথে ঝগড়াবিবাদে লিপ্ত হত। আমাদের গ্রামের এবং অন্যান্য শালিশি ব্যক্তিগন উপস্থিত আছেন আমাদের বাড়ীর প্রতিবেশি ঘরে সাথে নিকটবর্তী মানুষ আছেন তাহাদের নিকট থেকে সত্য জেনে আপনাদের মাধ্যমে আমাদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা হবে এবং আমরা আমাদের হক ফিরে পাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মতিন বকশ, হেলু মিয়া, শহীদ মিয়া,পঞ্চায়েত সরদার আনোয়ার মিয়া, শ্রমিক নেতা ফজলুর রহমান ফজির, মাতারকাপন এলাকার ফারুক মিয়া,ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর হোসেন সহ অন্যান্যরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টঃ নিজ মাকে প্রলোভন দিয়ে ও চিকিৎসার কথা বলে ৭৮ শতক ভূমি আত্মসাৎ করেন আব্দুল মকিছ। এমন অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পূর্ব মাতারকাপন এলাকার তার সহোদর ২ ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুস শহিদ।

১৭ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সহোদর ২ ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুস শহিদ এর স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন আব্দুল মতিনের স্ত্রী ফুল বিবি। লিখিত বক্তব্যে জানান, ৭৮ শতকের মধ্যে আমাদের সবার বাড়ি রয়েছে। গত আওয়ামী আমলে কয়েক বার বিচারহয়। এক পর্যায়ে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে বিচার বসে, সে ক্ষমতার দাপটে রায় মানে নাই। সে সাবেক এমপি জিল্লুর এবং নেছার আহমদের ঘনিষ্ট মানুষ। সব গুলি দলীয় প্রোগ্রাম এবং বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে চৌমুহনায় অপরাপর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে অবস্থান নেয়। সে তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আলীর একনিষ্ট সাথী এবং তাতীলীগের কমিটির পদধারী ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ নেতা নেছার আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান সহ নেতাদের সাথে এবং আওয়ামী প্রোগ্রামে তার ছবি রয়েছে। পট পরিবর্তনের পর আমরা তার বিরুদ্ধে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে অভিযোগ করি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে কয়েক বার তলব করার পরও সে ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হয় নাই। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মকিছের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য লিখিত সুপারিশ করেন।

আমি থানায় অভিযোগ দিলে আজ থেকে মাস দুইয়েক আগে এস আই সাইদুল এবং রানা মকিছকে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিতে চায়। তখন মকিছ বাজার ব্যবসায়ী ইসলাম এবং রুয়েল এর জিম্মায় শালিশ মানবে বলে জিম্মা নামায় স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে বিচার শালিশ বসে সেই শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশ, পঞ্চায়তের মুরব্বি খলিল মিয়া, শ্যামের কোনার বিশিষ্ট সালিশ আনোয়ার আলী, সাদিকুর রহমান সাদিক সহ শতেক লোক উপস্থিত ছিলেন।

মকিছ শালিসের এক পর্যায়ে সে সিন্ধান্ত মেনে না নিলে শালিস অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা শুনেছি এবং পত্রিকা মারফৎ অবগত হয়েছি শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশের নামে মিথ্যা মামলা নাকি দেওয়া হয়েছে এবং উনি আমাদেরকে হুকুম দিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করেন, আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা প্রতিদিন দেখি মকিছ তার বাড়িতে আছে, সে কোনদিনই বাড়ির ছাড়া ঘর ছাড়া ছিল না। বাড়িতে থেকে আমার সাথে ঝগড়াবিবাদে লিপ্ত হত। আমাদের গ্রামের এবং অন্যান্য শালিশি ব্যক্তিগন উপস্থিত আছেন আমাদের বাড়ীর প্রতিবেশি ঘরে সাথে নিকটবর্তী মানুষ আছেন তাহাদের নিকট থেকে সত্য জেনে আপনাদের মাধ্যমে আমাদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা হবে এবং আমরা আমাদের হক ফিরে পাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মতিন বকশ, হেলু মিয়া, শহীদ মিয়া,পঞ্চায়েত সরদার আনোয়ার মিয়া, শ্রমিক নেতা ফজলুর রহমান ফজির, মাতারকাপন এলাকার ফারুক মিয়া,ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর হোসেন সহ অন্যান্যরা।