ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে থাকবেন সিলেট-২ ও মৌলভীবাজার-২

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন দলটির সংসদ সদস্যরা (এমপি)। কথামতো পরের দিন রোববার দলটির বিএনপির পাঁচ এমপি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইতিমধ্যেই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আগেই শুন্য আসনগুলোতে নির্বাচন করা হবে।

রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র পদত্যাগকে যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে দাবি করছেন, কিন্তু এই ঘটনাটি এখন দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’- এর অন্য যে প্রার্থীরা জোটের, মূলত মাঠে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তারাও সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন কিনা তা নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল।

সিলেট-২ থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান এবং মৌলভীবাজার-২ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পদত্যাগ করবেন কিনা তা নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক চলছে। এই তিন এমপিকে নিয়ে নানান মন্তব্য করছেন এবং বক্তব্য দিচ্ছেন নেটিজেনরা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপির ভোটে নির্বাচিত এই দুই এমপি কোন পথে?

২০১৮ সালের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীক (বিএনপি’র দলীয় প্রতীক) নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখন বিএনপি’র এমপিদের পদত্যাগের পর নিজের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি যারা করে, তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তো আর বিএনপি করি না। ঐক্যফ্রন্টে আমি ছিলাম ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি। বিএনপি এসে ওই ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেছিল। আমি যেমন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছিলাম। ঐক্যফ্রন্ট এখন নাই। এটা চার বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে।

এই মুহূর্তে নিজ নির্বাচনী আসনে (সিলেট-২) অবস্থানরত মোকাব্বির খান জানান, তিনি নিয়মিত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। পদত্যাগ করার প্রশ্ন এলে তাকে যারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন তাদের বিষয়টি মাথায় রাখবেন বলেও জানান। এর পাশাপাশি নিজ দল এবং জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে পদত্যাগ করবেন কি করবেন না- সে সিদ্ধান্ত নেবেন। কবে নাগাদ বিষয়টি স্পষ্ট করবেন জানতে চাইলে বললেন, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আমার অবস্থান স্পষ্ট করবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে থাকবেন সিলেট-২ ও মৌলভীবাজার-২

আপডেট সময় ০২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন দলটির সংসদ সদস্যরা (এমপি)। কথামতো পরের দিন রোববার দলটির বিএনপির পাঁচ এমপি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইতিমধ্যেই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আগেই শুন্য আসনগুলোতে নির্বাচন করা হবে।

রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র পদত্যাগকে যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে দাবি করছেন, কিন্তু এই ঘটনাটি এখন দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’- এর অন্য যে প্রার্থীরা জোটের, মূলত মাঠে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তারাও সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন কিনা তা নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল।

সিলেট-২ থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান এবং মৌলভীবাজার-২ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পদত্যাগ করবেন কিনা তা নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক চলছে। এই তিন এমপিকে নিয়ে নানান মন্তব্য করছেন এবং বক্তব্য দিচ্ছেন নেটিজেনরা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপির ভোটে নির্বাচিত এই দুই এমপি কোন পথে?

২০১৮ সালের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীক (বিএনপি’র দলীয় প্রতীক) নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখন বিএনপি’র এমপিদের পদত্যাগের পর নিজের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি যারা করে, তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তো আর বিএনপি করি না। ঐক্যফ্রন্টে আমি ছিলাম ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি। বিএনপি এসে ওই ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেছিল। আমি যেমন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছিলাম। ঐক্যফ্রন্ট এখন নাই। এটা চার বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে।

এই মুহূর্তে নিজ নির্বাচনী আসনে (সিলেট-২) অবস্থানরত মোকাব্বির খান জানান, তিনি নিয়মিত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। পদত্যাগ করার প্রশ্ন এলে তাকে যারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন তাদের বিষয়টি মাথায় রাখবেন বলেও জানান। এর পাশাপাশি নিজ দল এবং জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে পদত্যাগ করবেন কি করবেন না- সে সিদ্ধান্ত নেবেন। কবে নাগাদ বিষয়টি স্পষ্ট করবেন জানতে চাইলে বললেন, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আমার অবস্থান স্পষ্ট করবো।