ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি-ভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে – পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহিষ্ণু স্থিতিস্থাপক কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ নিশ্চিতে  সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময় আমাদের কৃষি ল্যান্ডস্কেপে কৃষি বনায়ন অনুশীলনকে একীভূত করা জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। আমাদের জলবায়ু অভিযোজন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে হবে। আমি আমাদের কৃষিভিত্তিক শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন চালনা করার জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের এক সাথে কাজ করার এবং উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব অন্বেষণ করার আহ্বান জানাই।

বুধবার, ২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে হোটেল শেরাটন, বনানী, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা, কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি বনায়ন, কৃষি-আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোতে বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনএপি-তে চিহ্নিত অভিযোজন কর্মগুলির মধ্যে একটি হল জলবায়ু-সংবেদনশীল শস্য জোনিংয়ের ওপর ভিত্তি করে কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশ। এই উদ্যোগ আমাদেরকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত ফসল নির্বাচন করতে, পরিবর্তিত জলবায়ু বিন্যাস বিবেচনা করে এবং আমাদের দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করবে। এই ধরনের শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি এবং আমাদের কৃষি পণ্যের মূল্য সংযোজন করতে পারি, এভাবে আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারি।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ভাইসচেয়ারম্যান এ কে আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো: খুরশিদ আলম এবং  ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ডক্টর নুর খোন্দকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডক্টর রুহুল আমীন তালুকদার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি-ভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে – পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:২৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহিষ্ণু স্থিতিস্থাপক কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ নিশ্চিতে  সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময় আমাদের কৃষি ল্যান্ডস্কেপে কৃষি বনায়ন অনুশীলনকে একীভূত করা জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। আমাদের জলবায়ু অভিযোজন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে হবে। আমি আমাদের কৃষিভিত্তিক শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন চালনা করার জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের এক সাথে কাজ করার এবং উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব অন্বেষণ করার আহ্বান জানাই।

বুধবার, ২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে হোটেল শেরাটন, বনানী, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা, কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি বনায়ন, কৃষি-আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোতে বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনএপি-তে চিহ্নিত অভিযোজন কর্মগুলির মধ্যে একটি হল জলবায়ু-সংবেদনশীল শস্য জোনিংয়ের ওপর ভিত্তি করে কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশ। এই উদ্যোগ আমাদেরকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত ফসল নির্বাচন করতে, পরিবর্তিত জলবায়ু বিন্যাস বিবেচনা করে এবং আমাদের দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করবে। এই ধরনের শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি এবং আমাদের কৃষি পণ্যের মূল্য সংযোজন করতে পারি, এভাবে আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারি।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ভাইসচেয়ারম্যান এ কে আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো: খুরশিদ আলম এবং  ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ডক্টর নুর খোন্দকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডক্টর রুহুল আমীন তালুকদার।