ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রধান আসামী কারাগারে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি- জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামী শিমুলকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

 

জানা যায়, চম্পকলতা গ্রামের আজমল আলীর সাথে কালিনগর গ্রামের লুকুছ-লতিফদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল।গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আজমল আলী ও তার পুত্র সেলিম আহমদ ও নাঈম আহমদ প্রাইভেট কারযোগে বাজার থেকে বাড়ী যাবার সময় পূর্ব কালিনগর গ্রামের রইছ আলীর কালভার্টের নিকট শিমুল, লুকুছ, রোমন, বদরুল, ইমন, লিমন, সায়মন, সুবল খা, গেন্দু মিয়াসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাদের গতিরোধ করে দা, লাঠি, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আজমল আলী রক্তাক্তসহ তিন জন আহত হন। খবর পেয়ে তাদের আত্মীয় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সালমা বেগম ও সায়মন মিয়া এগিয়ে গেলে শিমুল-লুকুছ গং তাদের উপর হামলা চালায়।

 

এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর অবস্থায় আজমল আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীদের কে স্হানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।এ ঘটনায় নাইম আহমদ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা করলে প্রধান আসামী শিমুল মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) মৌলভীবাজার কোর্টে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

অপর আসামী লকুছ এলাকার চিহ্নিত একজন মাদকসেবি ও একটি ধর্ষণ মামলায় আজীবন সাজাভোগকারি অপরাধী।একই মামলায় সে আগে জেল থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রধান আসামী কারাগারে

আপডেট সময় ০৫:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

জুড়ী প্রতিনিধি- জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামী শিমুলকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

 

জানা যায়, চম্পকলতা গ্রামের আজমল আলীর সাথে কালিনগর গ্রামের লুকুছ-লতিফদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল।গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আজমল আলী ও তার পুত্র সেলিম আহমদ ও নাঈম আহমদ প্রাইভেট কারযোগে বাজার থেকে বাড়ী যাবার সময় পূর্ব কালিনগর গ্রামের রইছ আলীর কালভার্টের নিকট শিমুল, লুকুছ, রোমন, বদরুল, ইমন, লিমন, সায়মন, সুবল খা, গেন্দু মিয়াসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাদের গতিরোধ করে দা, লাঠি, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আজমল আলী রক্তাক্তসহ তিন জন আহত হন। খবর পেয়ে তাদের আত্মীয় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সালমা বেগম ও সায়মন মিয়া এগিয়ে গেলে শিমুল-লুকুছ গং তাদের উপর হামলা চালায়।

 

এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর অবস্থায় আজমল আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীদের কে স্হানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।এ ঘটনায় নাইম আহমদ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা করলে প্রধান আসামী শিমুল মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) মৌলভীবাজার কোর্টে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

অপর আসামী লকুছ এলাকার চিহ্নিত একজন মাদকসেবি ও একটি ধর্ষণ মামলায় আজীবন সাজাভোগকারি অপরাধী।একই মামলায় সে আগে জেল থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।