ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার জুড়ী মানবিক সোসাইটির উদ্যোগে ছাদিছ জামাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সময় ও সম্পদের কুরবানী দিতে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। -মাওলানা হাবিবুর রহমান

হাওর সমূহে সেচ ব্যবস্থাপনার দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর সহ মৌলভীবাজার জেলার হাওর সমূহে সেচ ব্যস্থাপনার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক ও বর্গা চাষীদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্ভল হাওরে উৎপাদিত এক ফসলি বোরো ধান। ওই ফসলের আয় দিয়েই কৃষকদের পুরো বছরের সাংসারিক খরচ এবং ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সহ সকল ব্যয় চলে। কৃষকরা ধার দেনাও মিটান ধান বিক্রি’র টাকা থেকে। কিন্তু মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে হাওরে বোরো জমিতে সেচ দেয়ার মতো সুবিধা না থাকায় কৃষকরা ফিতা পাইপ দিয়ে ৩/৪ হাজার ফুট দূর থেকে জমিতে পানি দিচ্ছেন। প্রতি ঘন্টায় কৃষকদের ৪০০/৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও পানি পাচ্ছেন না। পানির অভাবে বোরো জমি ফেঁটে চৌচির। জমিতে সেচ দেয়ার মতো নদী, নালা কিংবা বিলেও পানি নেই। ইজারাদাররা বিল শুকিয়ে মাছ নিধন করে। যার কারণে বিলেও পানি পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় এক দিকে কৃষকদের ব্যয় বাড়ছে এবং অন্য দিকে ফসল উৎপাদন কমে আসছে।

বক্তারা আরও বলেন, হাওরে বোরো উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের কষ্ট লাগব করতে হলে ফানাই নদীর চালিয়া এলাকায় একটি স্লুইচ গেট স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। ফানাই নদী ৩ নদীর মিলনস্থল। অর্থাৎ ফানাই নদীতে পশ্চিম দিকের ভাটেরা ইউনিয়ন থেকে আন ফানাই এবং পূর্বদিক হতে বান্না নদী এসে মিলিত হয়েছে। যার কারণে ফানাই নদীর ৩ নদীর মিলনস্থলের একটু নিচে (চালিয়া এলাকায়) স্লুইচ গেট স্থাপন করলে ৩টি নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং কৃষরাও চাহিদা মতো বোরো জমিতে সেচ দিতে পারবে।

বক্তারা জেলার কাউয়াদিঘী ও হাইল হাওর সহ সকল হাওরে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান।
হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, বাংলাদেশ জাসদ মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও বাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক আ স ম ছালেহ সোহেল, হাকালুকি হাওরের কৃষক মোঃ এলাইচ মিয়া, সোনা মিয়া, হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ শামসুদ্দিন মাস্টার, সদস্য ডা. ফরিদ আহমেদ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা সদস্য হোসাইন আহমদ, বিশ্বজিৎ নন্দী, গিয়াসনগর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, হাকালুকি হাওর পাড়ের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর।

মানববন্ধনে হাকালুকি হাওর পারের, রাজনগর ও সদর উপজেলার কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শওকত উজ্জামান
মানববন্ধ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হাওর সমূহে সেচ ব্যবস্থাপনার দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১০:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

শহর প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর সহ মৌলভীবাজার জেলার হাওর সমূহে সেচ ব্যস্থাপনার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক ও বর্গা চাষীদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্ভল হাওরে উৎপাদিত এক ফসলি বোরো ধান। ওই ফসলের আয় দিয়েই কৃষকদের পুরো বছরের সাংসারিক খরচ এবং ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সহ সকল ব্যয় চলে। কৃষকরা ধার দেনাও মিটান ধান বিক্রি’র টাকা থেকে। কিন্তু মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে হাওরে বোরো জমিতে সেচ দেয়ার মতো সুবিধা না থাকায় কৃষকরা ফিতা পাইপ দিয়ে ৩/৪ হাজার ফুট দূর থেকে জমিতে পানি দিচ্ছেন। প্রতি ঘন্টায় কৃষকদের ৪০০/৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও পানি পাচ্ছেন না। পানির অভাবে বোরো জমি ফেঁটে চৌচির। জমিতে সেচ দেয়ার মতো নদী, নালা কিংবা বিলেও পানি নেই। ইজারাদাররা বিল শুকিয়ে মাছ নিধন করে। যার কারণে বিলেও পানি পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় এক দিকে কৃষকদের ব্যয় বাড়ছে এবং অন্য দিকে ফসল উৎপাদন কমে আসছে।

বক্তারা আরও বলেন, হাওরে বোরো উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের কষ্ট লাগব করতে হলে ফানাই নদীর চালিয়া এলাকায় একটি স্লুইচ গেট স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। ফানাই নদী ৩ নদীর মিলনস্থল। অর্থাৎ ফানাই নদীতে পশ্চিম দিকের ভাটেরা ইউনিয়ন থেকে আন ফানাই এবং পূর্বদিক হতে বান্না নদী এসে মিলিত হয়েছে। যার কারণে ফানাই নদীর ৩ নদীর মিলনস্থলের একটু নিচে (চালিয়া এলাকায়) স্লুইচ গেট স্থাপন করলে ৩টি নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং কৃষরাও চাহিদা মতো বোরো জমিতে সেচ দিতে পারবে।

বক্তারা জেলার কাউয়াদিঘী ও হাইল হাওর সহ সকল হাওরে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান।
হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, বাংলাদেশ জাসদ মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও বাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক আ স ম ছালেহ সোহেল, হাকালুকি হাওরের কৃষক মোঃ এলাইচ মিয়া, সোনা মিয়া, হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ শামসুদ্দিন মাস্টার, সদস্য ডা. ফরিদ আহমেদ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা সদস্য হোসাইন আহমদ, বিশ্বজিৎ নন্দী, গিয়াসনগর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, হাকালুকি হাওর পাড়ের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর।

মানববন্ধনে হাকালুকি হাওর পারের, রাজনগর ও সদর উপজেলার কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শওকত উজ্জামান
মানববন্ধ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।