ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন পদ্ধতিতে যেভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া আজ বুধবার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না। বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।

রেলের টিকিট কাটতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। এরপরই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না।

এবার দেখা যাক অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে নিবন্ধন করা যাবে। পুরোনো নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে:

ধাপ-১

বর্তমান Username ও Password দিয়ে https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট বা rail sheba app–এ সাইন ইন (Sign In) করতে হবে।

ধাপ-২

NID নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে।
NID নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি এনআইডি নম্বরটি আগে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app–এ গিয়ে সাইন আপ (Sign Up) করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য প্রদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—

১.
১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা নিবন্ধনকৃত রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দ্বারা পৃথক/এককভাবে টিকেট কিনতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।

২.
বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

৩.
সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তনগর ট্রেনের টিকেট কিনতে পারবেন না।

৪.
ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।

৫.
পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের  ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেট ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬.
যাত্রীরা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।

৭.
দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনগুলোয় সর্বসাধারণের নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন পদ্ধতিতে যেভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন

আপডেট সময় ০৮:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া আজ বুধবার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না। বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।

রেলের টিকিট কাটতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। এরপরই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না।

এবার দেখা যাক অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে নিবন্ধন করা যাবে। পুরোনো নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে:

ধাপ-১

বর্তমান Username ও Password দিয়ে https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট বা rail sheba app–এ সাইন ইন (Sign In) করতে হবে।

ধাপ-২

NID নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে।
NID নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি এনআইডি নম্বরটি আগে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app–এ গিয়ে সাইন আপ (Sign Up) করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য প্রদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—

১.
১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা নিবন্ধনকৃত রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দ্বারা পৃথক/এককভাবে টিকেট কিনতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।

২.
বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

৩.
সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তনগর ট্রেনের টিকেট কিনতে পারবেন না।

৪.
ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।

৫.
পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের  ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেট ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬.
যাত্রীরা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।

৭.
দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনগুলোয় সর্বসাধারণের নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি।