ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত একই পরিবারের ৫ সদস্য

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মৌলভীবাজারে বসতঘরের মধ্যে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য।এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নিহতদের নিজ গ্রাম গোয়ালবাড়িতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা পুলিশ সুপারসহ তাদের জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।আজ  ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় ফয়জুর রহমান পরিবারের ৬ সদস্যসহ একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে আগুন লেগে যায়। এসময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান (৪৩), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৩৯), মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৫), সাবিনা আক্তার (৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) আগুনে পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু সোনিয়া আক্তার (১২) বর্তমানে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

 

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের আরও ঝুঁকিপূর্ণ লাইন মানুষের বাড়ির ওপর থেকে না সরানো হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাছুম বলেন, দিনমজুর ঠেলাচালক ফয়জুর রহমান ছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। এলাকার সবাই তাদের পরিবারের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত।

গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ফয়জুর রহমানের বাড়িতে বিদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ সন্তান। গুরুতর আহত হয় ১ শিশু, তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সিলেটে রেফার করেন।

 

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত কোনো ঘরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয় না। লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। এখন লাইনটি সরানো হবে। আহত চিকিৎসাধীন শিশুর চিকিৎসায় আমরা পাশে থাকব। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনায় পুরো জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত একই পরিবারের ৫ সদস্য

আপডেট সময় ১০:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মৌলভীবাজারে বসতঘরের মধ্যে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য।এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নিহতদের নিজ গ্রাম গোয়ালবাড়িতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা পুলিশ সুপারসহ তাদের জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।আজ  ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় ফয়জুর রহমান পরিবারের ৬ সদস্যসহ একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে আগুন লেগে যায়। এসময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান (৪৩), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৩৯), মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৫), সাবিনা আক্তার (৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) আগুনে পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু সোনিয়া আক্তার (১২) বর্তমানে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

 

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের আরও ঝুঁকিপূর্ণ লাইন মানুষের বাড়ির ওপর থেকে না সরানো হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাছুম বলেন, দিনমজুর ঠেলাচালক ফয়জুর রহমান ছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। এলাকার সবাই তাদের পরিবারের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত।

গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ফয়জুর রহমানের বাড়িতে বিদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ সন্তান। গুরুতর আহত হয় ১ শিশু, তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সিলেটে রেফার করেন।

 

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত কোনো ঘরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয় না। লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। এখন লাইনটি সরানো হবে। আহত চিকিৎসাধীন শিশুর চিকিৎসায় আমরা পাশে থাকব। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনায় পুরো জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।