ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিস্টুলা পরিস্থিতি: বাংলাদেশে বছরে দুই হাজার নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক প্রসবকালীন ফিস্টুলা নির্মূল দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৩ মে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রসবকালীন ফিস্টুলা নির্মূল দিবস পালিত হচ্ছে।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়: প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূলে অগ্রগতির ২০ বছর – এখনো যথেষ্ঠ নয় ! ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করুন এখনই !

বিশ্বে এখন প্রায় ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশে ভুগছেন প্রায় ২০ হাজার নারী। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার নতুন রোগী যোগ হচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার নতুন রোগী যুক্ত হন এই তালিকায়। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক সচেনতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে বাল্যবিবাহ রোধ ও কম বয়সে গর্ভধারণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি নিরাপদ প্রসবের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে ফিস্টুলা নির্মূলকরণ কার্যক্রম-২০৩০’বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রধানত ফিস্টুলা রোগী শনাক্তকরণ, রেফারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং পুনর্বাসনের আওতাভুক্ত করতে সহায়তা করা হয়।

সিআইপিআরবি সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগে গত চার বছরে ৩৭৯ জন ফিস্টুলা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯৯ জন।

২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সিলেটে ৫১জন, মৌলভীবাজারে ৯৯জন, হবিগঞ্জে ১২১জন এবং সুনামগঞ্জে ১০৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৩৭৯ জন রোগী শনাক্ত করে ২৯০ জনকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ২৪২ জনের অপারেশন হয়েছে এবং ১৮৩জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এছাড়া, ১৩২ জনকে বিভিন্ন সহায়তা (যেমন: সেলাই মেশিন, ছাগল, নগদ টাকা, খাদ্য-সামগ্রী, ভিজিডি কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারী ভাতা) দিয়ে পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ফিস্টুলা হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে বাল্য বিবাহ, কুসংস্কার, অশিক্ষা, দারিদ্র্য, ন্যূনতম যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা অন্যতম। বিশেষ করে হাওরাঞ্চল ও চা-বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এর প্রবণতা বেশি।

সিআইপিআরবি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আলতাফুর রহমান জানান, ফিস্টুলা প্রতিরোধের উপায় হলো বাল্য বিবাহ এবং কম বয়সে বাচ্চা না নেওয়া। হাসপাতালে প্রসব করানো।

সিলেট বিভাগের চা-জনগোষ্ঠীর মধ্যে অধিক সংখ্যক ফিস্টুলা রোগী থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হয়। কারণ শ্রীমঙ্গল উপজেলার তথ্যে জানা যায়, শনাক্ত ১৫ জন রোগীর মধ্যে ১০জনই চা-বাগান এলাকার। সেজন্য চা-বাগান এলাকায় অধিক পরিমাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সিআইপিআরবি’র সহায়তায় প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগীদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়। এখনো দরিদ্র রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহ যাবতীয় খরচ, এমনকি যাতায়াত ভাড়াও সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বছর দশেক ধরে রাজঘাটের আকল মনি পট নায়েক ভোগছিলেন ফিস্টুলা রোগে। তার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর প্রথম বাচ্চা বাড়িতে জন্মের পর মারা যায়। এক বছর পর দ্বিতীয় প্রসবেও বাড়িতে মৃত জন্ম হয়। তারপরের বছর তৃতীয় প্রসবের সময় সারারাত বাধাগ্রস্ত প্রসব ব্যথায় ভোগে স্থানীয় বাগান হাসপাতাল হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। প্রসব জটিলতার জন্য তাকে সেখান থেকে আবার জেলা সদর হাসপাতাল হয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে পরের দিন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত বাচ্চার প্রসব হয়। ওই সময় তার ফিস্টুলা শুরু হয়।

খেজুরীছড়া চা বাগানের মালতি রিকিয়াসনকে ১৬ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের শিকার হতে হয়। আর এই বাল্যবিবাহ ও ঘনঘন গর্ভধারণই তাকে ফিস্টুলাতে আক্রান্ত হতে সহায়তা করে। বারবার বিলম্বিত প্রসব ও বাধাগ্রস্ত প্রসবের শিকার হওয়া সত্ত্বেও, ৩ বারই বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রী দ্বারা মালতির প্রসবের চেষ্টা করা হয়। ৩য় প্রসবের সময় ৪৮ ঘন্টা বাড়িতে বিলম্বিত প্রসব জটিলতায় ভোগার পর তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত বাচ্চার প্রসব হয় এবং তখন থেকে ফিস্টুলায় ভোগতে থাকেন। এমতাবস্থায়, তালাকপ্রাপ্তা হয়ে জীবনে বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।

আকলমনি ও মালতি নারীরা এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরে আসতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সিআইপিআরবি। এরকম শতাধিক মায়ের জীবন রক্ষার্থে সিলেট বিভাগে অবদান রেখে চলেছে সিআইপিআরবি।

প্রসঙ্গত, নারী জননাঙ্গের ফিস্টুলার লক্ষণ ও শনাক্তের সহজ উপায় হচ্ছে রোগীর সব সময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝরতে থাকবে। সে ক্ষেত্রে প্রস্রাব বা পায়খানার সময় রোগীর কোনো চাপ বা বেগ অনুভব হবে না। সব সময় কাপড় ভেজা থাকবে। এ সমস্যা শুরু হবে সন্তান প্রসবের পর কিংবা তলপেট বা জরায়ুতে কোনো অপারেশনের পর। অর্থাৎ ফিস্টুলা হচ্ছে মাসিকের রাস্তার সঙ্গে মূত্রথলি অথবা মলাশয়ের এ বা একাধিক অস্বাভাবিক ছিদ্র হয়ে যুক্ত হওয়া। ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সব সময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝরতে থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিস্টুলা পরিস্থিতি: বাংলাদেশে বছরে দুই হাজার নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছেন

আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক প্রসবকালীন ফিস্টুলা নির্মূল দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৩ মে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রসবকালীন ফিস্টুলা নির্মূল দিবস পালিত হচ্ছে।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়: প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূলে অগ্রগতির ২০ বছর – এখনো যথেষ্ঠ নয় ! ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করুন এখনই !

বিশ্বে এখন প্রায় ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশে ভুগছেন প্রায় ২০ হাজার নারী। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার নতুন রোগী যোগ হচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার নতুন রোগী যুক্ত হন এই তালিকায়। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক সচেনতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে বাল্যবিবাহ রোধ ও কম বয়সে গর্ভধারণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি নিরাপদ প্রসবের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে ফিস্টুলা নির্মূলকরণ কার্যক্রম-২০৩০’বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রধানত ফিস্টুলা রোগী শনাক্তকরণ, রেফারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং পুনর্বাসনের আওতাভুক্ত করতে সহায়তা করা হয়।

সিআইপিআরবি সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগে গত চার বছরে ৩৭৯ জন ফিস্টুলা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯৯ জন।

২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সিলেটে ৫১জন, মৌলভীবাজারে ৯৯জন, হবিগঞ্জে ১২১জন এবং সুনামগঞ্জে ১০৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৩৭৯ জন রোগী শনাক্ত করে ২৯০ জনকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ২৪২ জনের অপারেশন হয়েছে এবং ১৮৩জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এছাড়া, ১৩২ জনকে বিভিন্ন সহায়তা (যেমন: সেলাই মেশিন, ছাগল, নগদ টাকা, খাদ্য-সামগ্রী, ভিজিডি কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারী ভাতা) দিয়ে পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ফিস্টুলা হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে বাল্য বিবাহ, কুসংস্কার, অশিক্ষা, দারিদ্র্য, ন্যূনতম যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা অন্যতম। বিশেষ করে হাওরাঞ্চল ও চা-বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এর প্রবণতা বেশি।

সিআইপিআরবি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আলতাফুর রহমান জানান, ফিস্টুলা প্রতিরোধের উপায় হলো বাল্য বিবাহ এবং কম বয়সে বাচ্চা না নেওয়া। হাসপাতালে প্রসব করানো।

সিলেট বিভাগের চা-জনগোষ্ঠীর মধ্যে অধিক সংখ্যক ফিস্টুলা রোগী থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হয়। কারণ শ্রীমঙ্গল উপজেলার তথ্যে জানা যায়, শনাক্ত ১৫ জন রোগীর মধ্যে ১০জনই চা-বাগান এলাকার। সেজন্য চা-বাগান এলাকায় অধিক পরিমাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সিআইপিআরবি’র সহায়তায় প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগীদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়। এখনো দরিদ্র রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহ যাবতীয় খরচ, এমনকি যাতায়াত ভাড়াও সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বছর দশেক ধরে রাজঘাটের আকল মনি পট নায়েক ভোগছিলেন ফিস্টুলা রোগে। তার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর প্রথম বাচ্চা বাড়িতে জন্মের পর মারা যায়। এক বছর পর দ্বিতীয় প্রসবেও বাড়িতে মৃত জন্ম হয়। তারপরের বছর তৃতীয় প্রসবের সময় সারারাত বাধাগ্রস্ত প্রসব ব্যথায় ভোগে স্থানীয় বাগান হাসপাতাল হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। প্রসব জটিলতার জন্য তাকে সেখান থেকে আবার জেলা সদর হাসপাতাল হয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে পরের দিন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত বাচ্চার প্রসব হয়। ওই সময় তার ফিস্টুলা শুরু হয়।

খেজুরীছড়া চা বাগানের মালতি রিকিয়াসনকে ১৬ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের শিকার হতে হয়। আর এই বাল্যবিবাহ ও ঘনঘন গর্ভধারণই তাকে ফিস্টুলাতে আক্রান্ত হতে সহায়তা করে। বারবার বিলম্বিত প্রসব ও বাধাগ্রস্ত প্রসবের শিকার হওয়া সত্ত্বেও, ৩ বারই বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রী দ্বারা মালতির প্রসবের চেষ্টা করা হয়। ৩য় প্রসবের সময় ৪৮ ঘন্টা বাড়িতে বিলম্বিত প্রসব জটিলতায় ভোগার পর তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত বাচ্চার প্রসব হয় এবং তখন থেকে ফিস্টুলায় ভোগতে থাকেন। এমতাবস্থায়, তালাকপ্রাপ্তা হয়ে জীবনে বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।

আকলমনি ও মালতি নারীরা এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরে আসতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সিআইপিআরবি। এরকম শতাধিক মায়ের জীবন রক্ষার্থে সিলেট বিভাগে অবদান রেখে চলেছে সিআইপিআরবি।

প্রসঙ্গত, নারী জননাঙ্গের ফিস্টুলার লক্ষণ ও শনাক্তের সহজ উপায় হচ্ছে রোগীর সব সময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝরতে থাকবে। সে ক্ষেত্রে প্রস্রাব বা পায়খানার সময় রোগীর কোনো চাপ বা বেগ অনুভব হবে না। সব সময় কাপড় ভেজা থাকবে। এ সমস্যা শুরু হবে সন্তান প্রসবের পর কিংবা তলপেট বা জরায়ুতে কোনো অপারেশনের পর। অর্থাৎ ফিস্টুলা হচ্ছে মাসিকের রাস্তার সঙ্গে মূত্রথলি অথবা মলাশয়ের এ বা একাধিক অস্বাভাবিক ছিদ্র হয়ে যুক্ত হওয়া। ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সব সময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝরতে থাকে।