ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে খাল খননের প্রকল্পের মাটি বিক্রির রমরমা বানিজ্য

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

এম এ ওয়াহেদঃ   লাখাইয়ে মোড়াকরি ইউনিয়নেরে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মরম আলীর বিরুদ্ধে খাল খননের প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে মাটি বিক্রি রমরমা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগন জানান আজ ৩ /৪ দিন ধরে মরম আলী মেম্বার সরকারী খাল খননের প্রকল্পের বরাদ্দকৃত খাল থেকে এক্সেলেটরের সাহায্যে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মোড়াকরি গ্রামে বিভিন্ন লোকের কাছে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। সোমবার বেলা পৌনে বারটার সময় জনৈক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে জানন যে মোড়াকরি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মরম আলী অবৈধ ভাবে সরকারী খাল থেকে  প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রির রমরমা  বানিজ্য করছে। সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে পাটা বিলের খাল থেকে এক্সেভেটরের সাহায্যে অবৈধ ভাবে অবৈধ  ৫ টি ট্রাক্টর দ্বারা মাটি কেটে মোড়াকরি গ্রামে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।  এ ছাড়াও মেম্বার মরম আলী মোড়াকরি  লক্ষীপুর পাকা রাস্তার সড়কের মাটি কেটে ডাইবেশন তৈরীর ফলে সরকারের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে  মেম্বার মরম আলীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার কালে তিনি জানান, জুলহাস মিয়ার জমির সীমানা  থেকে পাটাবিল পর্যন্ত সাতাউক  এর দিকে যাওয়া খালের জন্য এমপি আবু জাহির খাল খনন এর জন্য আমাকে ঔ খাল খননের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তাই আমি খাল খননের মাটি আমার গ্রামের কয়েজনের কাছে মাটি বিক্রির কথা ভিডিও বক্তব্যে  স্বীকার করেন। প্রতি গাড়ী মাটি মূল্য কত টাকা করে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান প্রতি গাড়ীর মাটির দাম ২ হাজার টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করতেছি।  এ বিষয়ে  ট্রাক্টর চালক মোহাম্মদ হোসেন কে  প্রতি গাড়ী মাটি বহন করতে কত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি সাড়া দিন মাটি বহন করে মালিক আমাকে ৮ শ টাকা দেয়। এ বিষয়ে   হ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি তাই উনার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান কে মোবাইল কোর্ট করার জন্য  পাঠিয়েছিলাম কিন্তু ঘটনা স্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান,  আমি  হবিগঞ্জ এ   একটা মিটিং এ  আছি বলে তিনি জানান ঔ প্রকল্পটি এমপি মহোদয় এর দেয়া এ কথা বলে তিনি ফোন রেখে দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি মেম্বার মরম আলী ভিডিও বক্তব্যে স্বীকার করে বলেন খাল খননের প্রকল্পের মাটি বিক্রি করা আমার ঠিক হয়নি, এটা আমার ভুল হয়েছে। এ দিকে সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান ঘটনা স্থলে পৌছার আগেই মরম আলী মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়  পূনরায়  বিকেল থেকে আবারও মাটি কাটা শুরু করেছে মর্মে এক বিশ্বস্ত সুত্র জানায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাখাইয়ে খাল খননের প্রকল্পের মাটি বিক্রির রমরমা বানিজ্য

আপডেট সময় ০৭:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

এম এ ওয়াহেদঃ   লাখাইয়ে মোড়াকরি ইউনিয়নেরে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মরম আলীর বিরুদ্ধে খাল খননের প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে মাটি বিক্রি রমরমা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগন জানান আজ ৩ /৪ দিন ধরে মরম আলী মেম্বার সরকারী খাল খননের প্রকল্পের বরাদ্দকৃত খাল থেকে এক্সেলেটরের সাহায্যে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মোড়াকরি গ্রামে বিভিন্ন লোকের কাছে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। সোমবার বেলা পৌনে বারটার সময় জনৈক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে জানন যে মোড়াকরি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মরম আলী অবৈধ ভাবে সরকারী খাল থেকে  প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রির রমরমা  বানিজ্য করছে। সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে পাটা বিলের খাল থেকে এক্সেভেটরের সাহায্যে অবৈধ ভাবে অবৈধ  ৫ টি ট্রাক্টর দ্বারা মাটি কেটে মোড়াকরি গ্রামে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।  এ ছাড়াও মেম্বার মরম আলী মোড়াকরি  লক্ষীপুর পাকা রাস্তার সড়কের মাটি কেটে ডাইবেশন তৈরীর ফলে সরকারের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে  মেম্বার মরম আলীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার কালে তিনি জানান, জুলহাস মিয়ার জমির সীমানা  থেকে পাটাবিল পর্যন্ত সাতাউক  এর দিকে যাওয়া খালের জন্য এমপি আবু জাহির খাল খনন এর জন্য আমাকে ঔ খাল খননের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তাই আমি খাল খননের মাটি আমার গ্রামের কয়েজনের কাছে মাটি বিক্রির কথা ভিডিও বক্তব্যে  স্বীকার করেন। প্রতি গাড়ী মাটি মূল্য কত টাকা করে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান প্রতি গাড়ীর মাটির দাম ২ হাজার টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করতেছি।  এ বিষয়ে  ট্রাক্টর চালক মোহাম্মদ হোসেন কে  প্রতি গাড়ী মাটি বহন করতে কত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি সাড়া দিন মাটি বহন করে মালিক আমাকে ৮ শ টাকা দেয়। এ বিষয়ে   হ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি তাই উনার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান কে মোবাইল কোর্ট করার জন্য  পাঠিয়েছিলাম কিন্তু ঘটনা স্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান,  আমি  হবিগঞ্জ এ   একটা মিটিং এ  আছি বলে তিনি জানান ঔ প্রকল্পটি এমপি মহোদয় এর দেয়া এ কথা বলে তিনি ফোন রেখে দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি মেম্বার মরম আলী ভিডিও বক্তব্যে স্বীকার করে বলেন খাল খননের প্রকল্পের মাটি বিক্রি করা আমার ঠিক হয়নি, এটা আমার ভুল হয়েছে। এ দিকে সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান ঘটনা স্থলে পৌছার আগেই মরম আলী মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়  পূনরায়  বিকেল থেকে আবারও মাটি কাটা শুরু করেছে মর্মে এক বিশ্বস্ত সুত্র জানায়।