ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজনগর চোলাই মদসহ আটক -১ টানা তৃতীয়বার সেরা লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী হলেন সুরাইয়া লাখাইয়ে আসামী ধরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এস আই ও নারী কনস্টেবল গুরুতর আহত লাখাইয়ে যান্ত্রিক মেশিনে বোরো ধান কাটা শুরু, ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক শ্রীমঙ্গল সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রেফতার মৌলভীবাজার জেলার ১৪ জন গুণী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পাচ্ছেন – টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদক ২০২৪ কুয়েতে রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী কোটি টাকার মাদক আইসসহ আটক প্রাথমিকে ক্লাস সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত,শনিবার বন্ধ লাখাইয়ে ডায়রিয়া পাদুর্ভাব বেড সংকট ভোগান্তি চরমে

স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে স্বামী প লা ত ক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্বামীর খোঁজে পাকিস্তান থেকে মাহা বাজোয়া নামের নারী হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এসেছেন গত ১৭ নভেম্বর। কিন্তু সেই স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে রেখেই পালিয়ে থাকতে হচ্ছে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার। কারণ- স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। স্বামীর কাছ থেকে ‘অবহেলা ও নির্যাতন’ পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে পাকিস্তানি সেই নারীকে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন-এর আদালতে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে সমন পাঠিয়েছেন।

 

হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে গত সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তাঁদের বিয়ের হলফনামার কপি দেখানোর কথা বললে মাহা বাজোয়া সেটি দেখালে বিচারক উক্ত আদেশ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাজ্জাদ আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত তাকে সমন পাঠান।

আদালত সূত্র জানায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইলের সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের সংসারে জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর মাহা বাজোয়া ও সাজ্জাদ দুবাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে মাহা সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। পরে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে গেলেও স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।

সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। তার অভিযোগ- স্বামী সাজ্জাদ তাঁর স্ত্রীর প্রতি অবহেলা শুরু করেছেন এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর থেকে সাজ্জাদ পলাতক রয়েছেন।

 

 

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে সমন জারি করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে স্বামী প লা ত ক

আপডেট সময় ০৬:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বামীর খোঁজে পাকিস্তান থেকে মাহা বাজোয়া নামের নারী হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এসেছেন গত ১৭ নভেম্বর। কিন্তু সেই স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে রেখেই পালিয়ে থাকতে হচ্ছে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার। কারণ- স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। স্বামীর কাছ থেকে ‘অবহেলা ও নির্যাতন’ পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে পাকিস্তানি সেই নারীকে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন-এর আদালতে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে সমন পাঠিয়েছেন।

 

হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে গত সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তাঁদের বিয়ের হলফনামার কপি দেখানোর কথা বললে মাহা বাজোয়া সেটি দেখালে বিচারক উক্ত আদেশ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাজ্জাদ আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত তাকে সমন পাঠান।

আদালত সূত্র জানায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইলের সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের সংসারে জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর মাহা বাজোয়া ও সাজ্জাদ দুবাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে মাহা সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। পরে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে গেলেও স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।

সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। তার অভিযোগ- স্বামী সাজ্জাদ তাঁর স্ত্রীর প্রতি অবহেলা শুরু করেছেন এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর থেকে সাজ্জাদ পলাতক রয়েছেন।

 

 

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে সমন জারি করেন।