ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্ধোধন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশকাপ অক্টোবরে শুরু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা  মৌলভীবাজারে বজ্রপাতে কৃষকের মৃ -ত্যু কুলাউড়ায় ছেলেকে মিথ্যা মামালা থেকে বাঁচাতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন জুড়ীতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্টিত লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়ার মনোনয়নপত্র স্থগিত কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ

ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সদস্যরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঝড়ের পূর্বাভাস কৃষি অফিস থেকে ৮০ভাগ পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ পেয়ে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যবস্ত সময় পার করছেন।

ঘুণিঝড় অশনির হাত থেকে পাকা ধান রক্ষা করতে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার উদসাহ দিতে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সদস্য ও সহযোগী সদস্যরা ধান কাটা উৎসবের মাধ্যমে এক কৃষকের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলে দিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এমন মহতি উদ্যোগে স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের প্রশংশা করেন।

শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এক ঝাক সংবাদকর্মী কৃষক শাকির আহমদের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলে দিতে সহযোগিতা করেন।

এসময় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কংকন মল্লিক, আসিদ্রোন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ মিয়াসহ প্রেসক্লাব সদস্য ও সহযোগী সদস্যসহ অন্যান্যররা উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মী শাকির আহমদের পাকা ধান কাটার সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সচেতন করতে এসেছি যাতে ক্ষেতে পাকা ধান ঘুর্ণিঝড়ের আগেই কেটে ঘরে তোলেন। অবহেলার কারণে যেনো ধানের কোনো ক্ষতি না হয়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, উপজেলায় পাকা বোরো ধান কাটা অনেকটা এগিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় ৮০ভাগ পাকা বোরো ধানগুলো কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৫০৩ ব্লক বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে এ ব্লকের বোরো ফসলের তমন কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। ঘুর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বোরো ধান হাওরে কাটার উপযোগী হওয়ার পরও কাটা হচ্ছে না। দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলতে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় বোরোর ফলন হয়েছে ভালো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সদস্যরা

আপডেট সময় ০১:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঝড়ের পূর্বাভাস কৃষি অফিস থেকে ৮০ভাগ পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ পেয়ে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যবস্ত সময় পার করছেন।

ঘুণিঝড় অশনির হাত থেকে পাকা ধান রক্ষা করতে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার উদসাহ দিতে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সদস্য ও সহযোগী সদস্যরা ধান কাটা উৎসবের মাধ্যমে এক কৃষকের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলে দিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এমন মহতি উদ্যোগে স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের প্রশংশা করেন।

শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এক ঝাক সংবাদকর্মী কৃষক শাকির আহমদের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলে দিতে সহযোগিতা করেন।

এসময় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কংকন মল্লিক, আসিদ্রোন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ মিয়াসহ প্রেসক্লাব সদস্য ও সহযোগী সদস্যসহ অন্যান্যররা উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মী শাকির আহমদের পাকা ধান কাটার সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সচেতন করতে এসেছি যাতে ক্ষেতে পাকা ধান ঘুর্ণিঝড়ের আগেই কেটে ঘরে তোলেন। অবহেলার কারণে যেনো ধানের কোনো ক্ষতি না হয়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, উপজেলায় পাকা বোরো ধান কাটা অনেকটা এগিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় ৮০ভাগ পাকা বোরো ধানগুলো কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৫০৩ ব্লক বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে এ ব্লকের বোরো ফসলের তমন কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। ঘুর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বোরো ধান হাওরে কাটার উপযোগী হওয়ার পরও কাটা হচ্ছে না। দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলতে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় বোরোর ফলন হয়েছে ভালো।